কোন কোর্ট গর্ভপাতের দাবি নাকচ করেছে ?
দিল্লি হাইকোর্ট অবিবাহিত তরুণীর গর্ভপাতের দাবি নাকচ করে দিয়েছে । ওই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ ওই রায় দেয়।
কী বলেছে কোর্ট ?
জানা গিয়েছে যে ওই তরুনীর খারিজ করে দিতে গিয়ে আদালত জানায় যে, এটা করা যায় না। একটি ভ্রুন ২৩ সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে , একে তারপর নষ্ট করে দেওয়ার অর্থ একটি প্রাণকে নষ্ট করা। আদালতে বলে যে এটা খুন করে দেওয়ার সমান। আদালতের পক্ষে তাই এই আর্জিতে সায় সেওয়া সম্ভব নয়। তাই আদালত কোনওভাবেই এই বিষয় নিয়ে কোনও ইতিবাচক নির্দেশ দেবে না। একজন দাবি করতেই পারেন। তবে এই বিষয়টা আদালত নাকচ করছে এবং এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে।
ডিভিশন বেঞ্চ আর কী বলে ?
পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ এও বলে যে, ওই তরুণীর যত্নের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কারন হিসাবে আদালত ব্যখ্যা করেছে যে, যাতে সে নিশ্চিন্তে এবং নির্ভাবনায় সন্তানের জন্ম দিতে পারে, তার জন্য এই কথা বলছে আদালত। 'নিরাপদস্থানে রেখে' সন্তানের জন্ম দিক তরুণী।
আদালত এও বলেছে যে, ওই তরুণী গর্ভপাতের আর্জি এই জন্যই জানিয়েছে যে সমাজ তাঁকে কী বলবে বা সমাজ তাঁকে কী আর ঠিক ভাবে মেনে নেবে? এই সব কথা ভেবে সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে চাইছে পরিচয় গোপন রাখতে। সে সবই হবে এবং এর জন্য এই আদালতের পরামর্শ দিয়েছে যে তরুণী নিজের পছন্দ মতো হাসপাতালে গিয়ে তাঁর পরিচয় গোপন করে সন্তানের জন দিতে পারবে। বলা হয়েছে যে, সুখবরের জন্য প্রতীক্ষায় থাকবে আদালত ।
তরুণীর আইনজীবী কী বলেছে ?
তরুণীর আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে বেঞ্চকে জানায়, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে তাঁর মক্কেল । কারণ সে অবিবাহিত। এই কথা শোনার পরেই বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা বলেন যে, "হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য তরুণীর যদি অর্থের দরকার হয়, তাহলে আমি নিজে টাকা দেব কিন্তু আমাদের একটাই কথা গর্ভপাত করানো যাবে না।