কী বলা হয়েছে নিয়মে ?
বিহার সরকারের কর্মচারীরা যারা দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদের এখন তাদের নিজ নিজ বিভাগকে সেই ব্যপারে জানাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরেই তাঁরা করতে পারবেন বিয়ে। রাজ্য সরকার একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে যাতে সমস্ত সরকারী আধিকারিকদের তাদের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে এবং প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরেই দ্বিতীয় বিবাহের জন্য যোগ্য হতে নির্দেশ দেবে বলে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে ?
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যে কোনও কর্মচারী যিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন তাকে প্রথমে তার স্ত্রীর কাছ থেকে আইনি বিচ্ছেদ চাইতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।কর্মচারীর প্রথম স্ত্রী বা স্বামী আপত্তি করলে, দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।
আর কী বলা হয়েছে ?
এদিকে, কোনো সরকারি কর্মচারী তাঁর বিভাগের অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে এবং চাকরি চলাকালীন সময়ে মারা গেলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী/স্বামী এবং তাদের সন্তানেরা চাকরি পাওয়ার অধিকারী হবেন না। প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের অগ্রাধিকার দেবে রাজ্য সরকার।
সাধারণ প্রশাসন সমস্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি), ডিজিপি হোম গার্ড, ডিজিপি কারাগার এবং প্রতিটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তাদের নিজ নিজ এখতিয়ারে এটি বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?
ঘটনা হল, এমন বিজ্ঞপ্তি আগে কোনও রাজ্যসরকার জারি করেনি। বিবাহ বিষয়টি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের দিকেই রেখেছে ভারতের সমস্ত রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটা বেশ সাহসী বিষয়। বিষয়টা প্রথম পক্ষকে বেশ কিছুটা সুযোগ সুবিধা দেবে এবং কেউ যদি অবৈধভাবে কোনও বিয়ে করে তাহলে সে সমস্যায় পড়বে। উক্ত ব্যক্তি সমস্যায় পড়বেন আর্থিক দিক থেকেও। পাশাপাশি এটা ঘটনা হল সরকারি চাকরি করলে সরকারের খাতায় তাঁর এই কাণ্ডের রিপোর্ট নিঃসন্দেহেই নথিভুক্ত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির নিজের দোষেই নিজের মান সম্মান নিয়ে চাপে পড়ে যেতে পারেন। সেই দিক থেকেই বিষয়টা বেশ সাহসী এবং ভালো মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এর একটা পাল্টা প্রতিক্রিয়াও আসবে, সেটাও দেখার বিষয়।