ডিএ বৃদ্ধি হতে পারে ৫ শতাংশের মতো
পশ্চিমবঙ্গের মতো কোনও কোনও রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের ডিএ না দিলেও, কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিতভাবে তাদের কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করে প্রতিবছরের জানুয়ারি ও জুলাইয়ে। তবে ২০২০-২০২১-এর মধ্যে প্রায় দেড় বছর করোনা মহামারির কারণে সেই ডিএ বৃদ্ধি বন্ধ রেখেছিল সরকার।
সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ আর পেনশনভোগীদের জন্য ডিআর দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোহীরা ৩৪ শতাংশ ডিএ পেয়েছেন। সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে তা আরও ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা ৩ অগাস্টের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধির পরিকল্পনা
একদিকে অগাস্টের শুরুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে যেমন মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ বাড়ানো নিশ্চিত, সেরকমই মোদী সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আরও একটা বড় উপহার দিতে পারে। সরকারি কর্মীদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়ানো হতে পারে। কেননা সরকারি কর্মীরাদীর্ঘদিন ধরেই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধির দাবি করে আসছেন। উল্লেখ্য যে বেতন নির্ধারণে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
কতটা বাড়তে পারে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর
বর্তমানে সরকারি কর্মীরা ২.৫৭ গুণ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হিসেবে পেয়ে থাকেন। তা বাড়িয়ে ৩.৬৮ গুণ করা হতে পারে। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়ানো হলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন অনেকটাই বাড়বে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.১১ গুণ বাড়ানো হলে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেসিক বেতন ১৮ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৬ লহাজার টাকা হবে। অর্থাৎ মূল বেতন মাসে বাড়তে পারে ৮ হাজার টাকা। মূল বেতন বাড়তে তা অন্য ভাতারওপরেও প্রভাব ফেলবে। মূল বেতন মাসে বাড়তে পারে ৮ হাজার টাকা বৃদ্ধি হলে বছথরে তা বাড়তে পারে ৯৬ হাজার টাকা।
সপ্তম বেতন কমিশন অনুমোদন হয় ২০১৭ সালে
২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন অনুমোদন করে। সেই সময় এন্ট্রি লেভেলবের মূলত বেতন প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করা হয়। আর সর্বোচ্চস্তরেতা ৯০ হাজার থেকে বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ টাকা করা হয়।