নতুন করে রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ ইতিমধ্যে তিন হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংক্রমণের নিরিখে কার্যত প্রত্যেকদিন নিত্য নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। এমনকি পজিটিভিটি রেট কিংবা অ্যাক্টিভ করোনা সংক্রমণও উপরের দিকে উঠছে। এই অবস্থায় বাড়ছে উদ্বেগ।
এমনকি মাস্ক ছাড়াই যেভাবে মানুষজন ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা।
আর এই অবস্থার মধ্যেই নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সমস্ত জেলার জেলাশাসক, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এই বৈঠকে বাংলার কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। কোন জেলার ক্ষেত্রে কি পরিস্থিতি সেই বিস্তারিত তথ্য মুখ্যসচিব নিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
তবে এই বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেমন সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিককে নবান্নের নির্দেশ নুন নুন্যতম দূরত্ব বিধি এবং মাস্ক পরার ওপর জোর দিতে হবে। সংক্রমণ বাড়লেও একটা অংশ মাস্ক ছাড়াই বের হচ্ছেন রাস্তায়। তা ঠেকাতে জোর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতন করার কাজও শুরু করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ভিড় এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে আগে যেমন ছিল থার্মাল চেকিং সহ নুন্যতম কাজ করতে বলা হয়েছে। কোভিড টেস্টিংয়ে আরও জোর দেওয়ার কথাও এদিন বলা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা এই বৈঠকে হয়েছে বলে খবর।
ইতিমধ্যে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ৭৫ দিন ধরে চলবে। বাংলাতে বুস্টার ডোজ নেওয়া নিয়ে একটা অনীহা মানুষের মধ্যে কাজ করছে। এই অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করা যায় সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যসচিব জেলা প্রশাসনকে দিয়েছেন বলেই খবর।
সব মিলিয়ে করোনা নিয়ে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। তবে স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলেই খবর। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আপাতত কয়েকদিন সংক্রমণ বাড়লেও আবার কমবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে নতুন করে কোভিড বিধি চালু করার কথা ভাবা হলেও কোনও বিধি নিষেধ এদিনের বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলবে। তবে মানুষকে সাবধান এবং সচেতন হওয়ার বার্তা নবান্নের তরফে দেওয়া হয়েছে।