মহারাষ্ট্রের পরে গোয়াতেও বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ! নিজেদের বিধায়কদের সরাতে শুরু করল কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক চেন্নাইতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার তাঁরা গোয়া থেকে সেখানে পৌঁছেছেন বলে খবর। বিধানসভা অধিবেশন শেষ হতেই চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই পাঁচ বিধায়ককে। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
ফের বিধায়কদের কেনার চেষ্টা বিজেপি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
জানা যাচ্ছে যে পাঁচ বিধায়ক চেন্নাই গিয়েছেন তাঁরা হলেন সঙ্কল্প ওমানকার, Alton Dcosta , Carlos Alvares, Rudolf Fernandes and Yuri Alemo। পাঁচজনই আপাতত চেন্নাই থাকবেন বলেই খবর। আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনেই কংগ্রেসের এই পাঁচ বিধায়ক গোয়াতে ফিরবেন বলে খবর। আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর এর মধ্যেই কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গপ্ত কয়েকদিন আগেই কার্যত সার্জিকাল স্ট্রাইক চালান রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধী। মাইকেল লোবোকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেয় কংগ্রেস। দল বিরোধী একাধিক তথ্য সামনে আসার পরেই এহেন পদক্ষেপ বলে জানা যায়। শুধু তাই নয়, পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত এবং লোবো'র বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ পেয়েছে। আর এরপরেই সোনিয়া গান্ধী এই বিষয়টির উপর কড়া নজর দেন। মুকুল বাসনিককে গোয়াতে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
বলে রাখা প্রয়োজন, রবিবার হঠাৎ জানা যায় ৫ কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে দলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দিগম্বর কামাত ৫ বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। আর এরপরেই বিধায়কদের সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিল বিজেপি। এজন্যে নাকি চার্টাড বিমানও তৈরি হয়ে যায়।
জানা যায়, দলত্যাগ বিরোধী আইনকে পাশ কাটিয়ে বিধানসভায় কংগ্রেস সদস্যদের দলে নিতে বিজেপির চাই ১১ জনের মধ্যে অন্তত ৮ জনকে। তবে এই মুহূর্তে তা সম্ভব নয়। আশা না ছেড়ে বিজেপির তরফে কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়ক দিগম্বর কামাতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে খবর।
তবে কংগ্রেস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে পাঁচ বিধায়ক তাঁদের সঙ্গেই রয়েছে। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা Digvijay Singh বলেন, প্রথমেই দেখতে হবে কতজন বিধায়ক ইডি কিংবা আয়করের নোটিশ পেয়ে লড়াই চালাছে। তবে এটা গণতন্ত্র নয়, বিজেপির ধনতন্ত্র চলছে বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের।