অস্ট্রেলিয়া সরকার ফেসবুক ও গুগলের বিরুদ্ধে লভ্যাংশ শেয়ারিং-এ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে অনেক আগেই। এখন দেখা যাচ্ছে যে ফেসবুক হোক কিংবা গুগল যে অর্থ তাঁরা পাচ্ছে তা নিয়ে চলে যাচ্ছে নিজেদের দেশে। ভারত সরকারকে কিস্যু দেয় না।
অথচ অস্ট্রেলিয়াকে তাঁরা টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে , কারণ সেখানে এ নিয়ে রয়েছজে আইন। ভারতে নেই আইন, তাই এই সংস্থার ফুর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ। সব নিয়ে যাচ্ছে দেশে। তা নিয়ে এবার ব্যবস্থা করতে পারে কেন্দ্র। আসলে এটা হল কর। কেউ অন্য স্থানে ব্যবসা করলে এটা দিতেই হয়। তবে তাঁর জন্য আইন থাকে সেটা নেই তাই যেমন খুশি তেমন খেলে যায় দুই সংস্থা।
জানা গিয়েছে যে ফেসবুক ও গুগলকে এবার ভারতেও কর দিতে হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই সব বিদেশি সংস্থার লভ্যাংশ শেয়ারিং নিয়ে দাবি দাওয়া চলছে। এবার কেন্দ্র সত্যিই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র।
কথায়। এবার থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিষয়বস্তু দেখানোর জন্য তাদেরকে লাভের অংশ দিতে হবে বিশ্বের নামী প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে। লাভের অংশ দিতে হবে গুগল, মেটা, ইউটিউব ছাড়াও অন্যান্যদের। সদ্য এই খবর নিশ্চিত করেছেন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এই নিয়ে কথা বলেছেন যে, কেন্দ্র আইটি, আইন সংশোধনের পথে হাঁটতে পারে । গুগল ফেসবুককে লাভের অংশ দিতে হতে পারে দিতে হতে পারে দেশের সংবাদপত্র, ডিজিটাল সংবাদের কোম্পানিগুলোকে। এই নিয়ম চালু হতে পারে দ্রুতই। এটা এখন সবার জানা সংবাদমাধ্যমের খবর দেখিয়ে প্রচুর টাকা লাভ করে গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো ডিজিটাল মাধ্যম। এর অর্থ ব্যবসা ভালো হচ্ছে কিন্তু দেশের কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র।
ভারতীয় সংবাদমধ্যমগুলোকে লাভের সঙ্গে দিতে হবে। অ্যাপেল, টুইটার, মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিকে লাভের অংশ দিতে হবে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার এখন। অথচ দেশের ডিজিটাল কোম্পানিগুলো অসুবিধায় পড়ছে। সরকার এই সমস্যা সমাধানে নতুন আইনীকরণ ও নিয়ম তৈরির পথে হাঁটছে।
জানা গিয়েছে যে , ইন্ডিয়ান নিউজপেপার সোসাইটি , ডিজিটাল নিউজ পাবলিসর্শ অ্যাসোসিয়েশন, কমপিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া যৌথ ভাবে এই অভিযোগ করে। আর সেই কথা শুনেছে কেন্দ্র। আর তা নিয়েই এর নতুন সিদ্ধান্ত চলেছে কেন্দ্র।