শহরে হালকা বৃষ্টি
বর্ষার শুরু থেকেই দক্ষিণ বঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি। জুন মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। জুলাই মাসে এখনও পর্যন্ত সেই ঘাটতি পুরন হয়নি। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই তেমন বর্ষার দাপট দেখা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরেই শহরে দু-এক পশলা বর্ষণ হচ্ছে। শুক্রবারও সেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দিন ভর আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও তোমন বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হবে দিনভর। তাপমাত্রারও খুব একটা হেরফের হবে না
জেলার আবহাওয়া কেমন থাকবে
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিেতও বর্ষার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে চাষবাসে সমস্যা দেখা গিয়েছে। তেমন বর্ষণ না হওয়ায় এখনও অনেক জমিতে ধান লাগানো যাচ্ছে না। জুলাই মাসেও ভাল বর্ষণ না হলে চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও তেমন বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। হালকা বর্ষণই হবে। গতকাল যদিও ওড়িশা উপকূলে নিম্নচাপের কারণে উপকূলবর্তী জেলাগুলোয় বৃষ্টি বেশি হয়েছে। দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টির দাপট বেশি ছিল গতকাল। তবে শুক্রবার তেমন দাপট থাকবে না বর্ষার।
উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণ
বর্ষার শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে চলছে ভারী থকে অতিভারী বর্ষণ। যার জরে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক শহরে অতি বর্ষণের কারণে জল জমেছে। অন্যদিকে ভুটান পাহাড়ে বর্ষণ শুরু হওয়ায় একাধিক নদীর জল প্রায় বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। তিস্তা তোর্ষা নদী ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। অতি বর্ষণে এক প্রকার বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা।
পশ্চিম ভারতে বর্ষণ বাড়ছে
মৌসুমী বায়ু দাপট দেখাতে শুরু করেছে পশ্চিমভারতের রাজ্য গুলিতে। মহারাষ্ট্র, গুজরাতে চলছে প্রবল বর্ষণ। একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি ৈতরি হয়েছে। অন্যদিকে আবার দক্ষিণ ভারতের কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশেও প্রবল বর্ষণ চলছে। যার জন্য স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গুজরাতের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার মানুষ ঘরছাড়া।