রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। এই অবস্থায় বিদেশ গম রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। যদিও সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও নরম হল মোদী সরকার। গম রপ্তানি করতে বলে বিশ্বের একাধিক দেশ ভারতকে অনুরোধ জানায়। কার্যত সেই অনুরোধে সাড়া দিল সরকার। শুরু হল গম রফতানি।
প্রায় ১.৮ মিলিয়ন টন গম বিদেশে পাঠালো ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে যে খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
তবে নতুন করে গম রফতানি শুরু হওয়ার কারণে ভারতের বাজারে গমের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও সবদিক ভেবেই এহেন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে বড়সড় ধাক্কা লাগে। বিশেষ করে গমের বাজারে দাম আকাশছোঁয়া।
এই অবস্থায় একাধিক দেশ ভারতের কাছে গম পাঠানোর কথা জানায়। পরিস্থিতি বুঝেই গম রফতানি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাসয সচিব সুধাংশু পান্ডে। মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের তরফে এহেন অনুরোধ আসে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী'র মতো দেশগুলিতেও গম পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব। মূলত নিজেদের দেশের মানুষের ব্যবহারের জন্যেই এই গম ব্যবহার করা হবে, কোথাও রফতানি করা যাবে না এই শর্তেই তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুধাংশু পান্ডে।
গত ১৩ মে হঠাত করেই ভারতের তরফে গম রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। দেশের খাদ্যসুরক্ষা'র কথা মাথায় রেখে এহেন সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। বিশ্বে গমের বড় একটা অংশ জোগান দেয় ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন গম সহ অন্যান্য জিনিস রফতানি কার্যত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ফলে সঙ্কট আরও বৃহৎ হয়। আর এর মধ্যেই ভারতের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় জি-৭ এ থাকা দেশগুলি। কড়া ভাষায় ভারতের এহেন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করে তাঁরা।
আর এর মধ্যেই গত কয়েকদিন আগে খাদ্যশস্যের জোগান দেওয়া নিয়ে বড় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন সবুজ সঙ্কেত দিলে ভারত বিশ্বকে খাদ্যশস্যের জোগান দেবে। আর এরপরেই এহেন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে আগেই পিয়ুষ গোয়েল জানিয়েছেন, গম রফতানিতে ভারত সেভাবে যোগ দিতে চায় না। তবে বন্ধু দেশগুলিতে খাদ্য সঙ্কট মেটাতে সবসময় ভারত পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী।