দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিল্লিতে। পার্কিং করা গাড়ি ভিতরে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল থেকে পিসিআর কল করে দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহার থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের পর তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ মনোজ সী জানান, ঘটনার সূত্রপাত ৬ জুলাই। ওইদিন দিল্লির বসন্ত বিহার থানা এলাকার একটি বাজার থেকে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। তারপর তাকে মহিপালপুরে নিয়ে পার্কিংয়ে থাকা একটি গাড়ির ভিতরে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের বয়য় ২৩, ২৫ ও ৩৫। ধৃতদের মধ্যে একজন ওই কিশোরীর বয়ফ্রেন্ট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সে-ই ফাঁসিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসে। তারপর তিন জন মিলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তাকে। এবং পার্কি করা গাড়ির ভিতরে ধর্ষণ করে।
হাসপাতাল থেকে ফোন করে পুলিশকে জানানো হয়েছিল ঘটনাটি। তারপর হাসপাতালে এক মহিলা কাউন্সিলরকে দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন কিশোরীটি জানায়, ওইদিন বসন্ত বিহারের বাজারের কাছে তার সঙ্গে পরিচিত দুই ব্যক্তি দেখা করতে এসেছিল। তারা তাকে তাদের সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির গাড়িতে চড়ার প্রস্তাব দেয়। এরপর ওই গাড়িতে ওঠার পরই তারা কিশোরীর উপর চড়াও হয়। যৌন নিগ্রহ করে।
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি জানান, চারজনই মহিপালপুরে গিয়েছিল এবং মহিলাপলপুরের একটি বাজার থেকে মদ কিনেছিল। গাড়িতে বসেই তারা মদ পান করেছিল। তারপরে তারা একটি নির্জন এলাকায় গাড়ি থামিয়ে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার আগে তারা গুরুগ্রাম গিয়েছিল। ওই কিশোরী তার বয়ানে জানিয়েছে, তার বয়ফ্রেন্ড কোনও অপরাধ করেনি। সে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। বাকি দুজন তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ ও ধর্ষণ, অপহরণ এবং শিশুদের সুরক্ষা আইন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। বসন্ত বিহার থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্তসাপেক্ষে ধৃতদের দৃষ্ট্বান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন কিশোরীর বাবা।