হংকং
সম্প্রতি চিনের হংকং শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা নাটকীয় ভাবে হ্রাস পেয়েছে। চিনের দূষণ হ্রাসের অন্য়তম কারণ করোনা ভাইরাস। অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের পর চিনে অনেক কারখানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবজীবনের গড় আয়ুর পরিমান ৮৫.২৯ দাঁড়িয়েছে।
জাপান
জাপানে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই দূষণের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছিল দেশবাসী। মৃত্যুর বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল দূষণ। কিন্তু করোনা আবহে জলবায়ুর পরিবর্তনে মানবজীবনের গড় আয়ুর পরিমান ৮৫.০৩ দাঁড়িয়েছে।
ম্যাকাও
বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যহানি আর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে৷ প্রতিবেদন বলছে এখন বিশ্বে যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে, গড়ে তারা কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ মাস কমে যাচ্ছে। ম্যাকাও শহরে মানবজীবনের গড় আয়ুর পরিমান ৮৪.৬৮ দাঁড়িয়েছে।
সুইজারল্যান্ড
করোনায় লকডাউনের জেরে দূষণের মাত্রা চোখে পড়ার মতো কমেছে। পরিবেশবিদরা বলেছেন, এটা প্রকৃতির বিদ্রোহ। সুইজারল্যান্ড মানবজীবনের গড় আয়ুর পরিমান ৮৪.২৫ দাঁড়িয়েছে।
সিঙ্গাপুর
বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যু ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ৷ দূষিত বায়ু গ্রহণের কারণে হৃদযন্ত্রের অসুখ, শ্বাসকষ্টজনিত জটিল সমস্যা, ফুসফুস সংক্রমণ ও ক্যানসারের মতো রোগে ভুগছে মানুষ৷ সিঙ্গাপুরে উল্লেখযোগ্য়ভাবে আয়ু কমেছে মানুষের। গবেষণায় গড় আয়ুর পরিমান ৮৪.০৭ দাঁড়িয়েছে।
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র
ডাব্লিউএইচওর মানদণ্ড অনুযায়ী বিশ্বের যেসব দেশের শতভাগ মানুষ মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের মধ্যে বাস করছে তার মধ্যে পড়েছে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। এখানে বায়ুদূষণের কারণে মানবজীবনের গড় আয়ুর পরিমান ৫৪.৩৬ বছরে দাঁড়িয়েছে।
চাদ
বায়ুদূষণ নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে বিশ্ববাসীর কাছে। স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক কুপ্রভাব ফেলেছে। চাদে এই কারণে মানুষের আয়ু কমছে। সেখানকার মানুষের গড় আয়ুর পরিমান ৫৫.১৭ বছর দাঁড়িয়েছে।
নাইজেরিয়া
বিশ্বের যেসব দেশের শতভাগ মানুষ মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের মধ্যে বাস করছে তার মধ্যে আরো একটি দেশ হল নাইজেরিয়া। সেখানে বায়ুদূষণে মানুষের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৫৫.৭৫ বছর।
সিয়েরা লিওন
বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি৷ জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে বায়ু দূষণ। দক্ষিণ এশিয়ার সিয়েরা লিওনতে বায়ুদূষণে মানুষের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৫৫.৯২ বছর।