বিশ্রাম নাকি বাদ?
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি ২০ দলে বিরাটকে রাখা হয়নি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছিল, বিরাট নিজেই ক্যারিবিয়ান সফরে না গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। গতকাল ভারতীয় দল ঘোষিত হওয়ার পর কপিল দেব একটি বেসরকারি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বলেন, আমি বলতে পারি না বিরাট কোহলির মতো বড় ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া উচিত। নিশ্চিতভাবেই বিরাট একজন বিগ প্লেয়ার। তবে যদি বলে দেওয়া হতো বিরাট কোহলির ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে
ফর্মে ফেরা গুরুত্বপূর্ণ
কপিল আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিরাটের মতো ক্রিকেটারকে কীভাবে ফর্মে ফেরানো যায়। বিরাট সাধারণ মানের ক্রিকেটার নন। প্রচুর অনুশীলন ও যত বেশি পারা যায় তত ম্যাচ খেললেই ফর্মে ফিরে পাওয়া সম্ভব। আমি মনে করি না, টি ২০-তে বিরাট কোহলির চেয়ে বড় কোনও ক্রিকেটার আর কেউ আছেন। কিন্তু তিনি যখন ভালো খেলতে পারছেন না, তখন নির্বাচকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার একটাই কথা, যদি কেউ ভালো না খেলেন তাহলে তাঁকে বাদ দেওয়া বা বিশ্রামে পাঠানো যেতেই পারে।
এত সময় কেন?
চেনা ছন্দে ফিরতে বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটারের এত বেশি সময় নেওয়া উচিত নয় বলেই উপলব্ধি কপিলের। তিনি বলেন, বিরাটকে ছাড়া ভারত গত পাঁচ-ছয় বছরে খেলেনি এমন নয়। কিন্তু আমি চাই বিরাটের মতো ক্রিকেটার ফর্মে ফিরুন। বিরাট বাদ যান বা বিশ্রামে পাঠানো হোক, এখনও তাঁর মধ্যে অনেক ক্রিকেট অবশিষ্ট রয়েছে। ফর্মে ফেরার রাস্তা তাঁকেই বের করতে হবে। রঞ্জি ট্রফি-সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলে রান করলেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন। এটাই একজন ভালো ক্রিকেটার ও গ্রেট ক্রিকেটারের মধ্যে ফারাক। নিজের সঙ্গে লড়াই করেই বিরাটকে ছন্দ ফিরে পেতে হবে। বিরাট ফর্মে ফিরতে যতটা সময় নিচ্ছেন, তা সত্যিই চিন্তার। একজন গ্রেট প্লেয়ারের এতটা সময় নেওয়া উচিত নয়।
আইপিএলে কেন বিশ্রাম নয়?
কপিল আরও বলেন, বিরাট বাদ গিয়েছেন, নাকি বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, আমার কাছে সেটা কোনও ব্যাপার নয়। আমি চাই তিনি দ্রুত ফর্মে ফিরুন। একটা ইনিংসই গ্রেট প্লেয়ারের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। কিন্তু সেটা কখন হবে তা জানি না। আমরা দুই বছর ধরে সেটার জন্যই অপেক্ষা করছি। বিরাট কোহলির ঘনঘন বিশ্রাম নেওয়ার প্রবণতায় অবশ্য খুশি নন কপিল। তিনি বলেন, বিরাটের এখন ৩৪ বছর বয়স। ফলে তিনি যদি বিশ্রাম নিতে চান তা অবাক করার মতোই। বিশ্রাম নিতে হলে আইপিএলে তো নিতে পারেন। যখন তিনি রান পাচ্ছেন না, তখন বাদ পড়লেও আপত্তির কিছু নেই। কঠোর পরিশ্রম করে দলে কামব্যাকের রাস্তা তো খোলাই। রোহিত যদি বিরাটকে দলে চান, তবে তাঁকে দলে রাখাই উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কপিল।