শ্রাবণ মাসের পবিত্র kanwar yatra শুরু হতে চলেছে। চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। আর এর আগে সতর্কতা জারি করা হল কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। হুমকির কথা উল্লেখ করে কানওয়ারিয়াদের নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিকে এই বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের তরফেও এটি অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই যাত্রাকে ঘিরে যাতে কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা না ঘটে সেদিকে তাকিয়ে দিল্লি পুলিশের তরফে সতর্কতা।
গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত রাজ্যে কানওয়ারিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো'র কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রেলকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভেবে রেলকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। kanwar yatra-এর উপর যে কোনও হামলা আসলে তা যাতে দ্রুত সামাল দেওয়া যায় সেদিকে বাড়তি পুলিশ কর্মী মোতায়েনের কথাও জানানো হয়েছে।
কপড়া সুরক্ষার মধ্যেই kanwar yatra শুরু করে দিয়েছেন ভক্তরা। শ্রাবণ মাসের প্রথমদিন এই যাত্রা শুরু হয়। যেখানে ভগবান শিব ভক্তরা দলে দলে গঙ্গাজল নিতে হরিদ্বারে পৌঁছন। গত দুবছর করোনার কারণে এই যাত্রা সেভাবে হতে পারেনি। এই অবস্থায় নতুন করে যাত্রা শুরু হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এই বছর সমস্ত ভিড়কে ছাপিয়ে যাবে। আর সেই ভিড়কেই কোনও ভাবে টার্গেট করা হতে পারে।
উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব এবং রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্য থেকে মানুষ kanwar yatra-তে অংশ নেন। আর সেই মতো হরিদ্বার কিংবা ঋষিকেষ যান। আর সেখান থেকে গঙ্গাজল নিয়ে বাড়িতে কিংবা মন্দিরে জল শিবের মাথায় জল ঢালেন। ইতিমধ্যে হরিদ্বারে করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে।
যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি রাখা হচ্ছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে কোনও পোস্ট থেকে অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে। অন্যদিকে মেলা চত্বরে বম্ব স্কোয়াড তো আছেই, এছাড়াও বিশেষ স্কোয়াডকে মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটিও জোনে হরিদ্বারকে ভাগ করা হয়েছে। সেই সমস্য জায়গাতে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যেক ভক্তের উপর ন জরদারি রাখা হচ্ছে বলেও খবর।