যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু উদ্ধারকাজ
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি নির্মীয়মাণ গুদামের প্রাচীর ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। প্রাচীর ভেঙে পড়ার পরেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকলের বিশাল বাহিনী উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়। পরে দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাচীর ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় ১০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আহতদের হরিশ্চন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের দুই জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরাতে দুটি জেসিবি ক্রেনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনগণ কৌতুহল উদ্ধারকার্যে যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই দিকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন
ঘটনাস্থলে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন উপস্থিত হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে দমকল বাহিনী জোর কদমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১৫ জন আটকে রয়েছেন আশঙ্কা করা হচ্ছে। দ্রুত তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স রাখা রয়েছে। দিল্লির দমকল বিভাগের প্রধান অতুল গর্গ বলেছেন, ১২টা ৪০ মিনিটে নারেলা এলাকায় চৌহান ধর্মকান্তের কাছে বাকোলি গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে দমলের ছয়টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর শোক প্রকাশ
দিল্লির আলিপুরে প্রাচীর ধসে পড়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'দিল্লির আলিপুরের দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত সুস্থ কামনা করছি।' অন্যদিকে, টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লিখেছেন, জেলা প্রশাসন ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। সম্পূর্ণ ঘটনার ওপর তিনি নজর রাখছেন। তিনি ঈশ্বরের কাছে দুর্ঘটনায় মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।