সিঙ্গাপুর পৌঁছেই ইস্তফা দিলেন Gotabaya Rajapaksa। লাগাতার বিদ্রোহের অবশেষে মাথা নোয়ালেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। ১৩ তারিখই রাষ্ট্রপতি থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন রাজাপক্ষে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন তিনি। শর্ত দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর পরিবারকে আগে সুরক্ষিত ভাবে দেশ ছাড়তে দিতে হবে।
তবে তিনি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। আর এহেন ঘোষণার পরেই নতুন করে শ্রীলঙ্কায় বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে।
আর এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কা ছাড়েন Gotabaya Rajapaksa। মালয়েশিয়া'তে গিয়ে আশ্রয় নেন। এদিকে লঙ্কাজুড়ে আগুন জ্বলতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্ফু জারি করা হয়। অন্যদিকে বুধবার সকালে মালদ্বীপে পালিয়ে গেলেও সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সেখানকার প্রবাসী শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
ফলে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। আর এরপরেই মালদ্বীপের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট জেটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে উড়ে যান রাজাপক্ষে। সঙ্গে ছিল পরিবার।
আর সিঙ্গাপুরে পা রাখতেই লঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করলেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাঁর ইস্তফাপত্র জমা পড়েছে বলে ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার তরফেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে কার্যবাহী রাষ্ট্রপতি হিসাবে ইতিমধ্যে Ranil Wickremesinghe-কে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রাজাপক্ষের ইস্তফার পর লঙ্কার রাষ্ট্রপতি পদে কে বসতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
#WATCH | A Saudi airlines plane, carrying Sri Lanka's president Gotabaya Rajapaksa, arrived from the Maldives at Singapore's Changi Airport earlier this evening.
— ANI (@ANI) July 14, 2022
(Video Source: Reuters) pic.twitter.com/ZcIMxXN9l8
Ranil Wickremesinghe এর নাম শোনা গেলেও আরও বেশ কয়েকটি নাম সামনে আসছে। তবে এই বিষয়ে জরুরি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তবে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের থামানো যায়নি। এই অবস্থায় সেনা এবং পুলিশকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে সবথেকে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে লঙ্কা। এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি'র বাসভবনে হামলা চালিয়েছে।
"The Speaker of Sri Lanka's Parliament has received President Gotabaya Rajapaksa's resignation letter," Sri Lankan Speaker's office says.
— ANI (@ANI) July 14, 2022
(File photo) pic.twitter.com/KPehGaOEjg
বিক্ষোভকারীদের থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনকে রক্ষা করতে নিরাপত্তাবাহিনী শূন্যে গুলিও চালাতে হয়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরে গিয়ে তা নিরাপত্তরক্ষীদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি'র বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ এখনও বিক্ষোভকারীদের হাতেই আছে বলে জানা গিয়েছে। তবে পালটা পুলিশের তরফেও নিরাপত্তা সেখানে আছে বলে খবর।
তবে রাজাপক্ষের ইস্তফা ঘোষণার পরেই আনন্দে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। হাততালি দিতে শুরু করে দেন অনেকে। তবে ধীরে ধীরে সে দেশ কি শান্ত হবে? সেদিকেই নজর সবপক্ষের।
অর্থের বিনিময়ে সরকারি চাকরি! তৃণমূল বিধায়ককে তলব করল রাজ্য পুলিশই