কতটা শক্তিশালী এই জাহাজ?
ফ্রিগেট হল নৌবাহিনীর ছোট জাহাজ। যা বাহিনীর সুরক্ষার জন্য অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে থাকে। গার্ডেনরিচের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনটি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে প্রথম ফ্রিগেটটি প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের উপস্থিতিতে চালু করা হয়েছিল। আর টা করা হয়েছিল ২০২০ সালে। তবে দ্বিতীয় জাহাজটি'র উদ্বোধন ঐতিহাসিক হতে চলেছে বলে নির্মানকারী সংস্থার। গার্ডেনরিচের দাবি, দ্বিতীয় জাহাজটি তৈরি অন্যতম জটিল ছিল। শুধু তাই নয়, জাহাজগুলিতে অন্যতম অত্যাধুনিক দুটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। আর তা জার্মানি থেকে আনা হয়েছে বলে দাবি। এছাড়াও এই জাহাজগুলিতে বেঙ্গালুরুতে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) দ্বারা তৈরি গ্যাস টারবাইন ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
প্রতিটি জাহাজের দাম ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি
অত্যাধুনিক ভাবে ফ্রিগেট তৈরি করা হয়েছে। গার্ডনরিচের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ২৩টি জাহাজ নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক বোট আছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও তৈরি করছে সংস্থা। শুধু তাই নয়, দুটি ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক (LPD) এর জন্য চুক্তি হতে পারে বলেও দাবি শিপ বিল্ডার্সের। যা অন্যতম একটি কঠিন বিষয় বলে দাবি সংস্থার। তবে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে আরও কয়েকটি জাহাজ কলকাতার এই সংস্থায় হবে বলেও জানানো হয়েছে। যা অবশ্যই শক্তিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে বলেই খবর।
ভারতীয় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে খুলে যাচ্ছে রাস্তা-
মোদী সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া'র উপর জোর দিয়েছে। বিদেশ থেকে নয়, দেশের সংস্থাগুলিতেই সমরাস্ত্র তৈরি হচ্ছে। শিপ বিল্ডার্সের তরফে জানানো হয়েছে, 30 মিমি (সিআরএন-91) বন্দুক তৈরি'র চেষ্টা চলছে পুরোদমে। লড়াইইয়ের সময় যা কিনা সমস্ত যুদ্ধ জাহাজেই লাগানো থাকে। খুব শিঘ্রই এই বিষয়ে সংস্থা ভালো খবর শোনাবে বলেই গার্ডেনরীচ শিপ বিল্ডার্সের তরফে জানানো হয়েছে। তবে নতুন এই যুদ্ধ জাহাজগুলি অত্যাধুনিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। একেবারে প্রযুক্তিগত ভাবে তৈরি করা হয়েছে।