|
ফের ব্যর্থ বিরাট
বিরাট কোহলি ফের ব্যর্থ হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। বিরাট কোহলি ফের খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি এভাবে আউট হচ্ছেন, অথচ ত্রুটি শোধরাতে কেন পারছেন না, সেই প্রশ্নই জোরালো হয়ে দেখা দিচ্ছে। বিরাটের উইকেটটি এদিন তুলে নেন ডেভিড উইলি। ২৫ বলে ১৬ রান করে আউট বিরাট, তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি চার। উইলি অফ স্টাম্পে বিরাটকে লোভ দেখিয়েই তাঁর উইকেট লাভ করলেন। অফ স্টাম্পে বিরাট কোহলির দুঃস্বপ্ন এদিনও অব্যাহত রইল। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, ঋষভ পন্থের উইকেট পড়ার পর সকলে যখন বিরাটের ব্যাট থেকে দায়িত্বশীল ইনিংসের প্রত্যাশা করছিলেন, তখনই পুরানো রোগ বিরাটকে আরও কিছুটা 'বিশ্রাম' নেওয়ার সুযোগ করে দিল!
|
ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা
বিরাট কোহলির আউটের ধরন দেখে হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। একেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশ্রাম নিতে চেয়েছেন কিং কোহলি, তাতে সায়ও রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিকের পর আজ ঘোষিত টি ২০ সিরিজের দলেও বিরাট কোহলির নাম নেই। ব্যাট হাতে ছন্দে নেই। নেটে আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও মাঠে নেমে বিরাট বিগ জিরো! এজবাস্টন টেস্টে করেছিলেন ১১ ও ২০। টি ২০ সিরিজে ১ ও ১১। আজ মাত্র ১৬। এভাবে কেন বিরাটকে বয়ে বেড়িয়ে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের প্রতি অবিচার চলবে, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে।
টপ অর্ডার হতাশ করল
ভারত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক লন্ডনের ওভালে জিতেছিল ১০ উইকেটে। যদিও আজ বেশ কষ্ট করেই চাপ কাটাতে হচ্ছে ভারতকে। ২.৪ ওভারে রোহিত শর্মা আউট হন ১০ বলে শূন্য রানে। চার রানে প্রথম উইকেটটি পড়ে ভারতের। রিস টপলির বলে লেগ বিফোর হন রোহিত। ৮.৫ ওভারে ২৭ রানে ভারতের দ্বিতীয় উইকেটটি পড়ে। একটি চারের সাহায্যে ২৬ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। তিনি রিস টপলির শিকার। প্রথম ১০ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২৮।
|
কিং কোহলিকে কটাক্ষ
ঋষভ পন্থ চার বলের বেশি টেকেননি। ব্রাইডন কার্সের ফুলটস বলে পরিবর্ত হিসেবে ফিল্ডিং করতে নামা ফিল সল্টের হাতে লোপ্পা ক্যাচ তুলে দেন। ১০.২ ওভারে ভারতের তৃতীয় উইকেট পড়ে ২৯ রানে। এরপর ১১.২ ওভারে দলের ৩১ রানের মাথায় বিরাট কোহলি আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। যা দেখে কিং কোহলিকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরপর ভারতের চাপ কাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদব। ২০০৪ সালের পর ভারতকে লর্ডসে প্রথম জয় এনে দিতে ভরসা তাঁরাই।