বিহার পুলিশ চরমপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর সাথে যোগ রয়েছে এমন একটি ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছে। দেশ বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য পাটনার ফুলওয়ারি শরীফ এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা আবার দুজনেই প্রাক্তন পুলিশ কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ অফিসার মনীশ কুমার বলেছেন, অভিযুক্তরা 'ইন্ডিয়া ভিশন ২০৪৭' শিরোনামে আট পৃষ্ঠার একটি নথির একটি অংশে "কাপুরুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কে বশীভূত করা এবং গৌরব ফিরিয়ে আনা" এই সব বিষয়ে কথা বলছিল। তিনি বলেন যে, ঝাড়খণ্ডের একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মহম্মদ জাল্লাউদ্দিন এবং স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি) এর একজন প্রাক্তন সদস্য, যিনি পিএফআই এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) বর্তমান সদস্য, আতহার পারভেজও রয়েছেন এই চক্রান্তের সঙ্গে। এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, "ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই মাস ধরে, অভিযুক্তদের কাছে অন্য রাজ্যের লোকজন আসছিল। যারা আসছে তারা টিকিট বুক করার সময় এবং হোটেলে থাকার সময় তাদের নাম পরিবর্তন করছিল," ।
মনীশ কুমার বলেছেন যে পারভেজের ছোট ভাই ২০০১-০২ সালে সিমি নিষিদ্ধ হওয়ার পরে রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণের জন্য জেলে গিয়েছিল। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পারভেজও লাখ লাখ টাকা তহবিল সংগ্রহ করেছিল। তিনি বলেন যে স্থানীয়দের মার্শাল আর্টের নামে তলোয়ার এবং ছুরি ব্যবহার করতে শেখানো হয়েছিল এবং অভিযুক্তরা অন্যদের ধর্মীয় হিংসার দিকে প্ররোচিত করেছিল।
কুমার বলেন। "৬-৭ জুলাই, মার্শাল আর্টের নামে, স্থানীয়দের তরবারি এবং ছুরি ব্যবহার করতে শেখানো হয়েছিল। তারা অন্যদেরকে ধর্মীয় হিংসার দিকে প্ররোচিত করেছিল। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি সাক্ষীদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। পারভেজও লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করেছে"। তিনি বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ নথি খুবই আপত্তিকর এবং "ভারতে ইসলামের শাসন" নিয়ে কথা বলা হয়েছে এতে।
পুলিশ অফিসার বলেন, 'ইন্ডিয়া ভিশন ২০৪৭' শিরোনামে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করা আট পৃষ্ঠার একটি নথিতে বলা হয়েছে, "পিএফআই আত্মবিশ্বাসী যে মোট মুসলিম জনসংখ্যার ১০ শতাংশও এর সমাবেশ করলেও, পিএফআই কাপুরুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কে বশীভূত করবে এবং গৌরব ফিরিয়ে আনবে,"
পুলিশ কর্মকর্তা নথি থেকে বলেছেন যে , "গত কয়েক বছরে পিএফআই ইসলামের পতাকাবাহী তুরস্কের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। কেরালা হাইকোর্ট এই বছরের মে মাসে পর্যবেক্ষণ করেছে যে পিএফআই এবং এর রাজনৈতিক শাখা এসডিপিআই চরমপন্থী সংগঠনগুলি সহিংসতার গুরুতর কাজে যুক্ত। তবে এটি বলেছে যে এই সংগঠনগুলি নিষিদ্ধ নয়৷ বিচারপতি কে হরিপালের বেঞ্চ আরএসএস কর্মী এস সঞ্জিত হত্যার তদন্তের জন্য সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর কাছে আবেদন খারিজ করার সময় এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন৷
মাঙ্কিপক্সের প্রথম সন্দেহভাজন ধরা পড়তেই তৎপর কেন্দ্র, কড়া নজরদারি এবং স্ক্রিনিংয়ের নির্দেশ