ডেরেকের চ্যালেঞ্জ
বাদল অধিবেশনের আগে অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ মোদী সরকারের। সমালোচনার ঝড় বইছে রাজনৈতিক মহলে। তীক্ষ্ণ আক্রমণে মোদী সরকারকে বিঁধেছেন ডেরেক। সরাসরি স্পিকারকে চ্যালেঞ্জ জািনয়ে টিএমসির রাজ্যসভার সাংসদ বলেছেন, ওই শব্দ ব্যবহার করেই কথা বলব। হিম্মত থাকলে সাসপেন্ড করে দেখান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে ডেরেকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। মোদী সরকারকে তীব্র িনশানা করে ডেরেক বলেছেন, বিরোধীদে কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে।
অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ
জুমলাজীবী, দুর্নীতি, তানাশাহি, স্বৈরাচারী, জয়চাঁদ, বিষ পুরুষ, খালিস্তািন, খুন কে খেতি- এই জাতীয় শব্দ আর সংসদে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এগুলি সবই এখন অসংসদীয় শব্দে পরিণত হয়েছে। বাদল অধিবেশেনে আগে এই শব্দের তালিকা প্রকাশ করেছে সংসদ। বেছে বেছে বিরোধীদের ব্যবহার করা শব্দেরই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় রাখা হয়েছে গদ্দার, গিরগিটি, গুণ্ডা, কুম্ভীরাশ্রু, অপমান, অসত্য, অহংকার, দুর্নীতি, কালোদিন, কালো বাজারি এই সব শব্দ রাখা হয়েছে।
কোন শব্দ তালিকায় নেই
মোদী সরকার বেছে বেছে সেই শব্দগুলিকেই তালিকায় রেখেছে যেগুলি ব্যবহার করে বিরোধীরা আক্রমণ শািনয়ে থাকে। এদিকে দাঙ্গা, দালাল, দাদাগিরি, বেচারা, ববকাট, ললিপপ, বিশ্বাসঘাতক, সংবেদনহীন, বোকা, পিট্টু, বিহারি সরকার, এরকম অনেক শব্দই অসাংবিধািনক। সেগুলি কিন্তু তালিকায় রাখা হয়নি। কাজেই এর েথকে স্পষ্ট মোদী সরকার বিরোধীদের চাপে রাখতেই অসাংবিধািনক শব্দের অস্ত্র প্রয়োগ করেছে।
সাসপেন্ড হওয়ার ভয়
একের পর এক আক্রমণাত্মক শব্দ অসাংবিধািনক ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগের দুটি অধিবেশনে বিরোধীরা মোদী সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হলে তাঁদের সাসপেন্ড করার পথ েনওয়া হয়েছিল। প্রায় ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বাজেট অধিবেশনে সংসদের বাইরে সাসপেনশন প্রত্যাহার করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁরা।