দেশে অর্থনীতির হাল খারাপ। সঙ্গে বাড়ছে জিনিষের দাম। অগ্নিমূল্য গ্যাস, তেল, পেট্রোল সবকিছু। চাকরি নেই মানুষের কাছে। এমন অবস্থায় অর্থনীতির হাল ধরতে হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া দরকার। দেশের অর্থমন্ত্রীর থাকেন উপদেষ্টা মণ্ডলী। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকেন যে কোনও দেশের অর্থমন্ত্রী। কংগ্রেস নেতা চিদম্বরম দেশের এই অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য নির্মলা সীতারামনকে এক হাত নিয়ে বলেছেন, দেশের অর্থমন্ত্রী অর্থনীতির হাল ফেরাতে গ্রহ রত্নের উপর ভরসা রাখছেন বেশি।
কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বৃহস্পতিবার বলেছেন যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার নিজের দক্ষতা এবং তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের উপদেশের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি অর্থনীতিকে উদ্ধার করার জন্য গ্রহ রত্নের উপর ভরসা বেশি করছেন। মঙ্গলবার স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা নাসার গ্যলাক্সির সবথেকে সুস্পষ্ট ছবিগুলি ফের টুইট করার করে সীতারামনকে এক হাত নেন চিদম্বরম।
চিদাম্বরম টুইট করেছেন যে, "এই যে দেশের অর্থনৈতিক হাল এত খারাপ তা নিয়ে আমরা বিস্মিত নই। আমাদের দেশে যেদিন মুদ্রাস্ফীতি ৭.০১% এবং বেকারত্ব ৭.৮% হয়েছিল সেদিন অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতি, প্লুটো এবং ইউরেনাসের ছবি টুইট করেছিলেন।"
এরপরেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, "দেশের বর্তমান অর্থমন্ত্রী তার নিজের দক্ষতা এবং তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের দক্ষতার উপর আশা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি এখন গ্রহ রত্নের উপর ভরসা রাখছেন দেশের অর্থনীতির উদ্ধারের জন্য।" তাঁর একজন অর্থনৈতিক জ্যোতিষী নিয়োগ করা উচিৎ বলে মনে করেন চিদাম্বরম।
প্রসঙ্গত গত ২৮ জুন বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে টাকার দামে পতন হয়েছিল। ভারতীয় মুদ্রার মূল্য ২০ পয়সা পতন হয়েছিল। ওই দিন ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার মূল্য হয় ৭৮.৫৯ টাকা। বিশ্বে মন্দার ভয়, আরও শক্তিশালী মার্কিন ডলার, অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি টাকার মূল্যের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
যে হারে টাকার দাম কমছে, মুদ্রাস্ফীতির একটা আশঙ্কা দেখতে পাওয়া যায়। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ দিলীপ পারমার বলেছিলেন, ভারতে বার বার টাকার দামের পতনের কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে অপরিশোধিত তেলের দামের বাড়ছে। পাশাপাশি আরবিআইয়ের ফরোয়াড ও ফিউচার মার্কেটে হস্তক্ষেপ করেছে। গত কয়েক মাস ধরে টাকার দামের পতন দেখা গিয়েছিল।
এফআইআই (ফরেন ইনস্টিটিউশন ইনভেস্টর)-এর চাপ ভারতীয় মু্দ্রার মূল্যকে আরও নিম্নমুখী করে তুলছে। ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাঙ্কগুলো সুদের হার বাড়াতে শুরু করেছে। তার নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়ছে।