রাজ্য সরকারকে নিশানা
কোনও দিনই সুসম্পর্ক নেই। ফের বিরোধিতার পারদ চড়ালেন রাজ্যপাল। এবার সরাসরি বিদ্দজনদের প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জািনয়েছেন তিিন। বাগডোগরা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'নাগরিক এবং বিশিষ্ট জনেদের এগিয়ে আসার এটাই উপযুক্ত সময়। রাজ্যের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলুন ওঁরা। ওঁদের নীরবতা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। আমলারা সব প্রশাসনের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন।' এর আগে আমলাদের তীব্র নিশানা করেছেন রাজ্যপাল।
কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা
এদিন রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র নিশানা করেছেন রাজ্যপাল। তিিন কটাক্ষ করে বলেছেন, 'তিন বছর ধরে বিনিয়োগ, চাকরির নতুন সুযোগ নিয়ে অনেক শুনেছি। কাজের কাজ কিছু হয়নি।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী গতকাল জিটিএ-র শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে পাহাড়ে কর্মসংস্থান তৈরির বার্তা দিয়েছিলেন। তিিন বলেছিলেন পাহাড়ে নতুন বিনিয়োগ আসবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাহাড়ে তৈরি হবে বলে আশা িদয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতেই এই কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালকে নিশানা পার্থর
রাজ্যপালের কটাক্ষের পাল্টা জবাবা দিয়েছে তৃণমূল। আমলা মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জািনয়ে দলের মহাসচিব বলেছেন, 'সারাদিন খালি ট্যুইট আর কথা। রাজ্য এবং রাজ্যের মানুষের কথা ভাবেন রাজ্যপাল! রাজ্যপাল যদি একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন, তাহলে রাজ্যের মানুষ ওঁকে রাজ্যপাল হিসেবে দেখবেন না, একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে সকলের কাছে গন্য হবেন উনি, যা না ওঁর পক্ষে, না রাজ্যপালের আসনের জন্য সম্মানজনক।' রাজ্যপালের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি বলেছেন, রাজভবনকে তামাশার জায়গায় পরিণত করেছেন উনি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। রাজভবন তার মর্যাদা হারাচ্ছে, যা দেখতে আমাদেরও খারাপ লাগছে।'
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন নয়। একুশের ভোটের আগে থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। রাজ্যের আইন প্রশাসন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছেন। এমনকী বিধানসভায় গিয়েও প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। বারবার আইন প্রশাসন নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এমনকী রাজ্যের আমলারা ঠিক মত কাজ করছে না বলেও অভিযোগ করেছে তিিন।