২৪৯টি গ্রাম বিপর্যস্ত
বিপর্যয় পরিচালনার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে গড়চিরোলি জেলায় বন্যার কারণে ২৪৯টি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতির কারণে ঘরছাড়া লোকদের জন্য ৩৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে ৪৪টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১,৩৬৮টি বাড়ির একাঁশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮০টি প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ও জাতীয় বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী একাধিক এলাকা থেকে ৫,৯৬৮ জনকে সরিয়ে এনেছে। গত ১০ দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের বাঁধ জলাধারগুলি ধারণক্ষমতার অর্ধেকেরও বেশি ভরাট হয়েছে।
বুধবার অবিরাম বৃষ্টি মুম্বইতে
ইতিমধ্যেই পালঘর জেলার ভাসাইতে ধস নেমেছে। জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনেকে আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে। বুধবার সকাল থেকেই মুম্বই এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেক নীচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুম্বই এবং থানেতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পালঘর এবং রায়গড়ের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বন্যা-কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। শিন্ডে আরও বলেছেন যে সরকার শীঘ্রই ৫০ হাজার টাকার ভাতা ছেড়ে কৃষকদের জন্য, যাঁরা নিয়মিত ফসল ঋণ দেন।
মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টি
মঙ্গলবার থেকে ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় মুম্বইতে। এদিন ভয়ঙ্কর অবস্থা মুম্বই এবং লাগোয়া শহরতলিতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরের বেশ কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে যায় বাণিজ্যনগরীর যান-চলাচল। একটি নির্মীয়মাণ স্থাপত্য ভেঙে দুজনের মৃত্যু হয় মুম্বইয়ের শহরতলিতে। গড়চিরোলি জেলায় এক জন ভেসে যান। মঙ্গলবার মোট তিন শিশু-সহ অন্তত নজনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে।