মুখ খোলেন প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি
বিতর্ক বাড়তেই আজ বুধবার এই বিষয়ে মুখ খোলেন প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। তাঁর দাবি, উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে যখন বিদেশে কোনও অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় সেই সময় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এরপরেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। ফলে এমন তিনি কাউকে আমন্ত্রণ জানানোনি এবং সাক্ষাৎ করেননি বলে স্পষ্ট বার্তা আনসারির। এমনকি ইরানে ভারতীয় দূত হিসাবে থাকাকালীন হামিদ আনসারির বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিজেপি। সেই বিষয়টি নিয়েও বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি। তাঁর দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।
কাউকে ডাকেননি
২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন হামিদ আনসারি। এই বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ এবং মানবাধিকারের উপর করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠান যারা আয়োজন করেছিল তাঁরাই অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন হামিদসাহেব। সেখানে আমি কাউকে ডাকিনি বলেও জানিয়েছেন। এমনকি নুসরতের সঙ্গে দেখা হয়নি বলেও দাবি তাঁর।
ভারত সরকারের কাছে সমস্ত তথ্য আছে
আনসারি জানান, ভারত সরকারের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। ফলে সমস্ত সত্যি তারাই জানাতে পারবে বলে দাবি তাঁর। তবে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৎকালীন দেশের প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, তেহরানে আমার কার্যকালের পর নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সেখানে তাঁর কাজ দেশে এবং বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে বলেও দাবি হামিদ আনসারির।
বিজেপির অভিযোগ একনজরে-
নুসরত মির্জার দাবি'র পরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া এই বিষয়ে কংগ্রেস এবং আনসারি'র বিবৃতি দাবি করেন। সম্প্রতি নুসরত আরও জানান, সাধারণ ভাবে ভারতে'র জন্যে ভিজা'র আবেদন করলে, সাধারণ ভাবে তিনটি জায়গাতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সেই সময় বিদেশমন্ত্রী ছিলেন খুরশিদ কুসরি। উনি নাকি তাঁকে সাত শহরে যাওয়ার জন্যে ভিজা পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন বলেও বিস্ফোরক দাবি নুসরতের।