মাতোশ্রীতে বৈঠক
সোমবার শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতোশ্রীতে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেখানে ১৯ জন সাংসদের মধ্যে ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যমে এই সংখ্যাটি ১৩। বেশিরভাগ সাংসদইউ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার জন্য উদ্ধর ঠাকরের কাছে আবেদন জানান বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও দলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতারা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের জন্য দলীয় নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনে রাজি উদ্ধব
সূত্রের খবর অনুযায়ী, উদ্ধব ঠাকরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে রাজি হয়েছেন। অর্থাৎ তিনি দলীয় সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মতামতকে এড়িয়ে দলের বেশিরভাগ সাংসদের মত গ্রহণ করেছেন।
সঞ্জয় রাউত বলেছেন, শিবসেনার উচিত বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করা। যদিও এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উদ্ধব ঠাকরের নেওয়ার কথা।
যদিও দলে দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থনে পাল্লা ভারী হতেই সঞ্জয় রাউত বলেছেন, দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার অর্থ বিজেপিকে সমর্থন করা নয়। যশবন্ত সিনহার সঙ্গে শিবসেনার সুসম্পর্কের বিষয়টিতে নজর রাখার পাশাপাশি জনগণের অনুভূতির বিষয়টিতেও খেয়াল রাখা উচিত বলেো মন্তব্য করেন তিনি।
ধাক্কা বিরোধী শিবিরে
উদ্ধব ঠাকরে যদি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, তাহলে তা মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আঘাদি জোটের পক্ষে ধাক্কা। কেননা এমভিএ জোটের দুই অন্য শরিক কংগ্রেস ও এনসিপি যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করছে।
যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করানোর সব থেকে বড় উদ্যোক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দ্রৌপদী মুর্মুর নাম আগে জানতে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দাঁড় না করানোর পক্ষেই সওয়াল করতেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ১৮ জুলাই, ফল ঘোষণা ২১ শে
১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর ২১ জুলাই ফল প্রকাশ হবে। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য বিশেষ কালি যুক্ত কলম ব্যবহার করা হবে। ভোট দিতে গেলে ১,২,৩ লিখে পছন্দের কথা জানাতে হবে। প্রথম পছন্দ না জানালে ভোট বাতিল হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ব্যালট পেপার এবং বিশেষ কলম পাঠানোর কাজ
এদিন থেকেই নির্বাচন কমিশন শুরু করেছে। যা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় পাঠানো হবে। নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়করা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে মনোনীত এবং যেসব রাজ্যে বিধান পরিষদ রয়েছে, সেইসব বিধান পরিষদের সদস্যরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।