জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতার পরিস্থিতি ঘটতে দেওয়া উচিত নয়
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখন কেউ পরিবার পরিকল্পনা এবং জনসংখ্যার স্থিতিশীলতার কথা বলেন, সেই সময় সবাইকে মনে রাখতে হবে জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতার পরিস্থিতি ঘটতে দেওয়া উচিত নয়। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, গত পাঁচ দশক ধরে জনসংখ্যার স্থিতিশীলতা নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে। সেখানে সমাজকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখাই লক্ষ্য বলেও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে টুইটে বলা হয়েছে, দক্ষ জনশক্তি সমাজের সম্পদ। কিন্তু যদি সেখানে রোগ কিংবা সম্পদের অভাব থাকে, তাহলে তা চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায়।
জনসংখ্যা নিয়ে সতর্কবার্তা
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা দেশে বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্য তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, এমনটা কখনি হওয়া উচিত নয়, যখন কোনও এক শ্রেণির জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে আর মূল নিবাসীরা সচেতনতার সঙ্গে জনসংখ্যানিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছেন। তিনি বলেন, স্থিতিশীল প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এই কাজে সব ধর্ম, শ্রেণিকে সমানভাবে যুক্ত করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৫ কোটির পথে উত্তর প্রদেশ
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর জনসংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছতে কয়েক লক্ষ বছর লেগেছে। কিন্তু ১০০ কোটি থেকে ৫০০ কোটিতে পৌঁছতে লেগেছে মাত্র ১৮৩ থেকে ১৮৫ বছর। তিনি বলেন, বর্তমান গতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি চলতে থাকলে বলতি বছরের শেষ নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা৮০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের জনসংখ্যা ১৩৫-১৪০ কোটি হলে, উত্তরপ্রদেশে তা ২৪ কোটি। শীঘ্রই তা ২৫ কোটি অতিক্রম করতে চলেছে বলেও জানান তিনি।
সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার ডাক
উত্তরপ্রদেশের দেশের সব থেকে জনবহুল রাজ্য, একথা উল্লেখ করে যোগী বলেন, আশা, অঙ্গনওয়ারি, গ্রাম প্রধান, শিক্ষক এবং অন্যরা স্বাস্থ্য বিভাগ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগীআদিত্যনাথ ছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মায়াঙ্কেশ্বর শরণ সিং উপস্থিত ছিলেন।