শুরু হয়েছে জোর বিতর্কের ঝড়
আর এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্কের ঝড়। যে সময় পাকিস্তানি ওই লেখক ভারতে এসেছেন সেই সময় কংগ্রেসের শাসনকাল। ফলে ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মির্জা দিল্লিতে ওবেরয় হোটেলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি সেমিনারে অংশ নেন। আর তা ২৭ অক্টোবর, ২০০৯ সালে। সেই সময়ে জামা মসজিদের শাহী ইমাম আহমেদ বুখারি এবং ইয়াহিয়া বুখারিকে এই বিতর্কিত পাকিস্তানি সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা যায়।
উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছবি
ইতিমধ্যে এই অনুষ্ঠানের একটি ছবি সামনে এসেছে। জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরামের তরফে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি এবং তৎকালীন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গুলাব নবী আজাদ ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। আমন্ত্রিতদের তালিকায় মধু কিশ্বর ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। যদিও এই ঘটনা সামনে আসার পরেও তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি এবং গুলাব নবী আজাদ কোনও মন্তব্য করেননি।
একাধিক শহরে যাওয়ার ভিসা
মির্জা ফাউন্ডেশন বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের ছবি সামনে এনেছে। যেখানে পাক ওই সাংবাদিক ২০০৭ এবং ২০১০ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি অডিটোরিয়ামে একটি 'ছাত্র সেমিনারে' অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দিতেও দেখা যাচ্ছে। এর আগে এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুসরত বলেন, সাধারণ ভাবে ভারতে'র জন্যে ভিজা'র আবেদন করলে, সাধারণ ভাবে তিনটি জায়গাতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সেই সময় বিদেশমন্ত্রী ছিলেন খুরশিদ কুসরি। উনি নাকি তাঁকে সাত শহরে যাওয়ার জন্যে ভিজা পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন বলেও বিস্ফোরক দাবি নুসরতের।
এসেছিলেন কলকাতাতেও
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে। নুসরত দিল্লি'র জামিয়া মিলিয়াতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় ফের ভারতে আসেন। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গেই পাকিস্তানের বেশ কিছু নেতা ছিল বলেও দাবি করেছেন নুসরত। এমনকি সে দেশের জন প্রতিনিধিরা ছিলেন বলেও খবর। মির্জা জানিয়েছেন, উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির আমন্ত্রনেও ভারতে এসেছিলাম। হামিদসাহেব ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। অন্তত পাঁচ বার ভারতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন পাক ওই সাংবাদিক। এমনকি দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু,। পাটনা এবং কলকাতাতেও এসেছিলেন বলে সাক্ষাতকার করেছেন ওই সাংবাদিক।