যে কোনও মুহূর্তে পালাতে পারেন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষ। আর সেই আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কা বিমানবন্দরের দিকে কড়া নজর রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। আর এই অবস্থায় একেবারে ১০৮ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ১৩ তারিখ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইস্তফা না দেওয়ার কথাই জানা যাচ্ছে।
সুত্র জানাচ্ছে, ইস্তফা দেওয়ার জন্যে নতুন করে শর্ত দিয়েছেন রাজাপক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর পরিবার সুরক্ষিত ভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদ থেকে রাজাপক্ষে ইস্তফা না দেওয়ারই কথা জানিয়েছেন বলে দাবি সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের। আর এহেন দাবি ঘিরেই নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে লঙ্কার আকাশে।
সূত্র জানাচ্ছে, রাজাপক্ষের দাবি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না বলেই জানা যাচ্ছে। গত শনিবারই প্রবল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন রাজাপক্ষে। আড়ালে থেকেই স্পিকারের মাধ্যমে রাজাপক্ষে জানান, বুধবার অর্থাৎ ১৩ তারিখ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
হঠাত করেই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল লঙ্কার রাষ্ট্রপতি। শর্ত দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবারকে সুরক্ষিত ভাবে দেশ ছাড়তে দিতে হবে। বলে রাখা প্রয়োজন, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে অন্যত্র পালাবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে তাঁকে আটকে দেন আন্দোলনকারীরা।
তিনি রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের ছোট ভাই বলে জানা যায়। সোমবার সন্ধ্যায় দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে উঠতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। আর এরপরেই রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের এহেন শর্ত বলে জানা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে গোটা দেশের মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে।
ইতিমধ্যে রাজাপ্রাসাদ আন্দোলনকারীদের দখলে। সেখান থেকে প্রচুর নগদ উদ্ধার হয়েছে। রাজাপক্ষের কাছে স্পষ্ট, যে তিনি বাইরে আসলেই আন্দোলনকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরবে। আর সবকিছু ভেবেই এহেন শর্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে কিছু প্রকাশ্যে জানাননি রাজাপক্ষে। তবে আন্দলনবকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলন চলবে।
রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার আহ্বান দেওয়া হয়েছে। যদিও একদিকে যখন আন্দোলন চলছে অন্যদিকে তখন লঙ্কা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল আঁটসাঁট ব্যবস্থা।