বাংলায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ হার ২১ শতাংশের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছে। টেস্টিং কম হওয়ায় দৈনিক সংক্রমণ কমলেও সংক্রমণের হার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। সেইসঙ্গে বাংলায় হু হু করে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পরিসংখ্যান। করোনার চতুর্থ ঢেউয়েৎ আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে বাংলাকে।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১৫। গতদিনের তুলনায় এই সংখ্যাটা হাজারেরও কম। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬২৬ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা ২১২৪৬। এদিন বাংলায় তিনজনের প্রাণ কেড়েছে ঘাতক করোনা।
মোট আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট আক্রান্ত ২০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬২৬ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৪২০৯ জন। দৈনিক আক্রান্ত ১৯১৫ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৯৬৭ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ২০ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১ জন। সুস্থতার রেট হয়েছে ৯৭.৭৯ শতাংশ। আর এদিন করোনামুক্তের দ্বি-গুণ সংক্রমণ হয়েছে।
করোনা টেস্টিং
করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৪ হাজার ১৭২। এদিন টেস্টিং হয়েছে ৮ হাজার ৯৯৬ জনের। মোট টেস্টিংয়ের নিরিখে এদিন করোনা সংক্রমণের হার ২১.২৯ শতাংশ। সংক্রমণের হার বাড়তে বাড়তে ২১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল বাংলায়।
করোনার টিকাদান
এদিন বাংলায় মোট করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ১২৪ জনকে। এঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭ কোটি ২৭ লক্ষ ২ হাজার ৯১৭ জনের। আর দ্বিতীয় ডোজ ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৮১ হাজার ২২৪ জনের। মোট বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৪১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২২৪ জন।
কত জন সক্রিয় কে কোথায়
বাংলায় মোট করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা বর্তমানে ২৪২০৯ জন। তাদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন অধিকাংশ। ২৩৫৭৬ জন করোনা সক্রিয় হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। সেফ হোমে এই মুহূর্তে কেউ নেই। আর হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র ৬৩৩ জন। এ দিন করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৯৪৫ জন।
সুস্থ হওয়ার পথে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা
করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা। এখন আবার দৈনিক করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এদিন বাংলার ২৩ জেলায় মোট সংক্রমণ ১৯১৫। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২৯৬২। গতকাল টেস্টিং হয়েছিল ১৭ হাজার। সেই নিরিখে এদিন পরীক্ষা কমে হয়েছে মাত্র ৯ হাজারের সামান্য কম। তুলনায় বাড়ল সংক্রমণ। সংক্রমণ হার তাই ঊর্ধ্বমুখী।