দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে শাস্তির প্রস্তুতি কংগ্রেসের
দিগম্বর কামাথ, মাইকেল লোবো, রাজেশ ফলদেশাই, কেদার নায়েক, ডেলিয়ালাহ লোবো এই পাঁচ বিধায়ক রবিবার দলের থেকে আলাদা হয়ে যান। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের তরফে লোবোকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। এই মুহূর্তে দিগম্বর কামাথ, মাইকেল লোবোর বিরুদ্ধে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অযোগ্য ঘোষণার জন্য আবেদন জানানোর প্রস্তুতি চলছে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে শীঘ্রই বিরোধী দলনেতার নামও জানানো হবে।
কংগ্রেসের তরফে গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দীনেশ গুণ্ডু রাও বলেছেন, এই দুই নেতা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কংগ্রেসে বিভাজনের ষড়যন্ত্র করছেন।
বাকি পাঁচ বিধায়ককে সরিয়েছে কংগ্রেস
গোয়া বিধানসভায় বাকি পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ককে কংগ্রেস অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অ্যালেইক্সো সিরুইরা দলের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুণ্ডু রাও জানিয়েছেন,
ষড়যন্ত্র একমাস ধরে চলছে। কিন্তু বিজেপি দল ভাঙাতে এখনও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক যোগার করে উঠতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, খনি ও কয়লা এহং শিল্প লবি থেকে বিধায়কদের ওপরে চাপ দেওয়ার অভিযোগ
করেছেন। তবে তাঁর দাবি দিগম্বর কামাথ, মাইকেল লোবো, কেদার নায়েক, ডেলিয়ালাহ লোবো কংগ্রেসের সঙ্গে নেই।
বিজেপির অপারেশন কমল
কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপির লক্ষ্য হল কংগ্রেসকে ধ্বংস করা। আপ কিংবা অন্য কোনও বিরোধী দলের সঙ্গে তারা এটা করে না। বিজেপি কংগ্রেস মুক্ত দেশ এবং কংগ্রেস মুক্ত গোয়া নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু গোয়ায় বিজেপি তা
করতে পারবে না। কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিজেপির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ
দীনেশ গুণ্ডু রাও বলেছেন, বিজেপি অর্থ, ক্ষমতা আর মন্ত্রিত্বের প্রলোভন দেখিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করেছে। কোনও কোনও বিধায়ককে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা বলেছেন, কংগ্রেসকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালালেও বিজেপি অপারেশন কমল গোয়ায় ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। গোয়াতেও মহারাষ্ট্রের মতোই পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছিল বিজেপি। দলের বিধায়ক সংখ্যা ২৫ থেকে ৩৩-এ নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা।