ঋষি সুনক, এই নামটা এখন মোটামুটি সবার কাছেই পরিচিত। কনজারভেটিভ দলের নেতা হতে পারেন আগামী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রায় কুড়ি বছর আগের একটি ভিডিও এখন সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এবং সেই ভিডিওতে তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে অনেকেই তাঁকে ট্রোল করা শুরু করেছেন।
সুনক ইংল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যে প্রার্থী হচ্ছেন তা ঘোষণা করে দিয়েছেন। তবে তাঁর তাকে দুই দশকের পুরনো একটি ক্লিপ দিয়ে তাঁকে অনেকেই এখন খোঁচা দিচ্ছেন। ওই ভিডিও ক্লিপে তিনি বলেছিলেন যে তার শ্রমজীবী বন্ধু নেই। সাত সেকেন্ডের ভিডিওটি এখন ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
সুনকের তখন বয়স ২১ বছর, ২০০১ সালে বিবিসি'র ডকুমেন্টারিতে তিনি বলেছিলেন, "আমার বন্ধু আছে যারা অভিজাত, আমার বন্ধু আছে যারা উচ্চবিত্ত, আমার বন্ধু আছে যারা, আপনি জানেন, কর্মজীবী, শ্রমজীবী নয়।" এই কথা বলেই তিনি সমস্যার মুখে পড়েছেন। ব্রিটেনের হাডার্সফিল্ড থেকে ক্যাথরিন ফ্র্যাঙ্কলিন শেয়ার করা ভিডিওটি ৩০ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছে।
রিচমন্ডের সাউদাম্পটনে জন্মগ্রহণকারী সাংসদ ঋষি সুনক ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা মূর্তিকে বিয়ে করেছেন। বরিস জনসন মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, ঋষি সুনককে প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব পেনি মর্ডান্টের পাশাপাশি বুকমেকার ল্যাডব্রোকস যৌথ ভাবে জনপ্রিয় হিসাবে বেছে নিয়েছিল। ব্যবসা এবং কর্মীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরি করার পরে তিনি মহামারী চলাকালীন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
ঋষি সুনকের দাদু ঠাকুমা পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য প্রার্থী হচ্ছেন তা ঘোষণা করার পর একটি প্রচারাভিযান ভিডিও চালু করেছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর ঠাকুমার নানা গল্প শেয়ার করেছেন। " তিনি সেখানে বলেছিলেন , "তাঁর ঠাকুমা খুব কম বয়সে ইংল্যান্ডে এসেছিলেন। সুন্দর জীবনযাপনের আশাতেই তারা এই দেশে এসেছিলেন।" ভিডিওতে ঋষি সুনক বলেন, "ঠাকুমা এখানে এসে একটি চাকরি খুঁজে নিতে পেরেছিলেন। কিন্তু তার স্বামী এবং সন্তানদের জন্য যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করতে প্রায় এক বছর লেগেছিল।" তবে তিনি লড়াই ছাড়েননি। সাফল্য দেরীতে হলেও আসে। আর আজ তাঁর উত্তরসুরী সুনাক হতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। আর সেটা হলে শীঘ্রই এক ইতিহাস তৈরি হবে তা বলা যেতেই পারে।