গুজরাতে প্রবল বর্ষণ
উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সরে এবার পশ্চিম ভারতের দিকে নজর দিয়েছে মৌসুমী বায়ু। গত পাঁচ দিন ধরে মুম্বইয়ে বর্ষার ঝোড়ো ইনিংস চলার পর এবার গুজরাতে হাজির হয়েছেন তিনি। গুজরাতের একাধিক জায়গায় গত তিনদিন ধরে নাগাড়ে বর্ষণ চলছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত আহমেদাবাদ। একাধিক নীচু জায়গায় জল জমে গিয়েছে। প্রায় ৩৪০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিেয় নিয়ে যেতে হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলাশাসকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল। ভালসাদে ওরসাং নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। নভসারি জেলাতে কাবেরী নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। যেকোনও মুহুর্তে সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
লাল সতর্কতা জারি
গুজরাতের একাধিক জায়গায় আইএমডির পক্ষ থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ সেই সব এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ দিন গুজরাতের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ১৫টি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ১৬টি টিম কাজ করছে।
তেলঙ্গানায় সতর্কতা জারি
গুজরাতের পাশাপাশি দক্ষিণের রাজ্য তেলঙ্গানাতেও বর্ষা দাপট দেখাতে শুরু করেছে। হায়দরাবাদ সহ তেলঙ্গানার একাধিক জায়গায় নাগাড়ে বর্ষণ চলছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে পরিস্থিতি আরও খারাপ হব আগামী কয়েকদিন। সেকারণে ৩ দিন স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিশেষ বৈঠক করেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও। সব জেলার জেলা শাসকদের তিনি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
কর্ণাটকেও বাড়ছে বর্ষা
দক্ষিণের আরেক রাজ্য কর্নাটকেও প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কেরলেও বাড়ছে বর্ষার দাপট। এদিকে আবার উত্তরের রাজ্য অমরনাথে প্রবল বর্ষণে ধস নেমেছে। মঘভাঙা বর্ষণে ১৬ জন তীর্থ যাত্রীর প্রাণ গিয়েেছ অমরনাথে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক বাসিন্দা রয়েছে। বর্ষার কারণে অমরনাথ যাত্রা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।