সাধারণ পরিষদের সভায় এডাপ্পাদি পালানিস্বামী 'AIADMK'-এর অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হল। সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম (AIADMK) সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে ই পালানিস্বামী এবং ও পনিরসেলভামের সমর্থকরা চেন্নাইতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। দুই পক্ষ মাদ্রাজ হাইকোর্টের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পার্টির দুই পক্ষ একে অপরের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারছে। এদিনের শুরুতে, হাইকোর্ট সাধারণ পরিষদের সভার পরিচালনা স্থগিত করে এবং পনিরসেলভামের দায়ের করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল৷ আদালত পর্যবেক্ষণ করেছিল যে এটি একটি রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্ব। সেখানে কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে না।বিচারপতি কৃষ্ণান রামাস্বামী সোমবার সকালে এই রায় দেন, যা ইপিএস উপদলকে জিসি বৈঠক করার অনুমতি দেয়। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
বনাগারমের একটি বেসরকারি হলে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দলের সাধারণ পরিষদে বৈঠকে পন্নিরসেলভামকে। তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা রোয়াপিট্টার সদর কার্যালয়ে আসেন। তারপরেই দু'পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওপিএস গোষ্ঠী সেখানে আসছে খবর পেয়ে গিয়েছিল ইপিএস গোষ্ঠী। এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই পক্ষ। লাঠিসোঁটা, পাথর ছোড়া এমনকী ধারালো অস্ত্র ছিল তাঁদের হাতে। কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন ওই সংঘর্ষে। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওপিএসকে তাতেও দমানো যায়নি। তিনি সদর কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশ নিয়ে। সেখানে গিয়ে দলের পতাকা উড়িয়ে দেন বারান্দায় দাঁড়িয়ে। খণ্ডযুদ্ধ তাতেও থামেনি।
ই পালানিস্বামী এবং ও পনিরসেলভামের সাথে অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগমের (এআইএডিএমকে) টানাপোড়েন বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছে। তামিলনাড়ুতে, মূল ইস্যুটি হল সমন্বয়কারী হিসাবে ও পনিরসেলভাম (ওপিএস) এবং যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসাবে এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামী (ইপিএস) এর দ্বৈত নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়া। ২০১৬ সালে পার্টি সুপ্রিমো জে জয়ললিতার মৃত্যুর পরে 'AIADMK' অনেক অশান্তি দেখে নেতাদের মধ্যে এই সমঝোতা হয়েছিল।
এআইএডিএমকে-র মধ্যে দ্বন্দ্বও রয়েছে কে একক নেতৃত্বে দলকে নেতৃত্ব দেবেন এবং প্রকৃত এআইএডিএমকে বা আম্মার পছন্দের নেতা কে হবেন ? তা নিয়েই মূল সমস্যা। নেতা একজন হলেও তা আসলে কোনও সমস্যার স্মাধান করল না। উলটে তা আরও বড় সমস্যার দিকে এগিউএ গেল তা বলা যেতেই পারে। জয়ললিতার দলের এবার কী অবস্থা হয় বা তাঁর অস্তিত্বই বা থাকে কি না সেটাই এখন দেখার , কারণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এত বড় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে এগিয়ে যাওয়া মুশকিল।