বিরাট অনিশ্চিত
বিরাট কোহলি দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মে নেই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজে ১ ও ১১ রান করেছেন। তার আগে টেস্টেও রান পাননি। তবে খারাপ সময়ে তাঁর পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সমালোচনার তির থেকে বিরাটকে আগলাতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই পরিস্থিতিতে একদিনের সিরিজে বিরাট কোহলির ছন্দে ফেরার সুযোগ ছিল। যদিও সেই সম্ভাবনা ঘিরেই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
প্রথম ম্যাচে বাইরে
বিসিসিআই সূত্রের দাবি, গতকাল তৃতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিকেই বিরাট কোহলির কুঁচকিতে চোট লেগেছে। তবে ফিল্ডিং করার সময় নাকি ব্যাট করার সময় সেটা হয়েছে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁর চোট কতটা গুরুতর সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বোর্ডসূত্রে খবর, বিরাটকে কালকের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যাতে তিনি অন্তত ১৪ জুলাই লর্ডস ও ১৭ জুলাই ম্যানচেস্টারের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দুটি খেলতে পারেন। বিরাটের মেডিক্যাল চেক-আপ নটিংহ্যামে হতে পারে। সে কারণে তাঁকে টিম বাসে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
অপশনাল প্র্যাকটিস শিখরদের
লন্ডনের ওভালে আজ ভারতের একদিনের দলে থাকা তিন ক্রিকেটার অপশনাল নেট প্র্যাকটিস সেরেছেন। তাঁরা হলেন শিখর ধাওয়ান, শার্দুল ঠাকুর ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি ২০ দল ঘোষণা আগামীকাল করা হবে। যেহেতু করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সে কথা মাথায় রেখে ইংল্যান্ড থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় দলকে পাঠানো হবে চার্টার্ড বিমানে করেই। জানা গিয়েছে, বিরাট কোহলি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশ্রাম নিতে চাইছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিরাটকে টি ২০ দলে রাখা না হলে সেটাকে বাদ না বিশ্রাম কোন শব্দটি ব্যবহার করা হয় সেটাই দেখার। কেন না, খারাপ ফর্মের কারণে বিরাটকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই।
|
সিনিয়রদের নিয়ে অসন্তোষ সানির
ভারতের সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নেওয়ার প্রবণতা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। একটি স্পোর্টস চ্যানেলে সানি বলেন, ক্রিকেটারদের এভাবে বিশ্রাম দেওয়াকে সমর্থন করি না। ক্রিকেটাররা কিন্তু আইপিএলের সময় বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলেন না। তাহলে দেশের হয়ে খেলার সময়ই কেন বিশ্রাম নিতে চাইবেন তাঁরা? এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্রামের কথা বলাই উচিত নয়। টি ২০-তে একটি ইনিংস হয় ২০ ওভারের। এতে শরীরের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। টেস্ট ম্যাচে ক্লান্ত হতেই পারেন ক্রিকেটাররা। শরীর নিঙড়ে নেয় টেস্ট ম্যাচ, আমার ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। কিন্তু টি ২০ ক্রিকেটে এমন কিছু হয় না যাতে এভাবে বিশ্রাম প্রয়োজন।
বোর্ডকে কড়া হতে পরামর্শ
গাভাসকর আরও বলেন, এই বিশ্রামের ব্যাপারে বিসিসিআইয়েরও ভাবা উচিত। গ্রেড এ-তে থাকা ক্রিকেটাররা ভালো পরিমাণ অর্থের বিনিময়েই চুক্তিবদ্ধ। প্রতিটি ম্যাচের জন্য তাঁরা অর্থ পান। কোনও কোম্পানির সিইও বা এমডি কি এত ছুটি পান? ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও পেশাদার হতে গেলে কিছু বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট লাইন টানতেই হবে। কীভাবে ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলতে না চেয়ে ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চাইছেন বারবার, সেটাই অবাক করছে গাভাসকরকে।