অমরাবতী এবং উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। অভিযুক্তদের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এসডিপিআই), চরমপন্থী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর রাজনৈতিক ফ্রন্টের সাথে যোগসূত্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এও দেখা গিয়েছে যে অমরাবতী এবং উদয়পুর কাণ্ডে মৃত উমেশ কোলহে এবং দর্জি কানহাইয়া লাল দুজনকেই হুমকি দিয়েছিল ইসলামিক সংগঠন।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ) শুক্রবার সন্ধ্যায় নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার জন্য কানহাইয়া লাল খুনের সপ্তম অভিযুক্ত হিসাবে ফরহাদ মহম্মদ শেখ ওরফে বাবলাকে গ্রেপ্তার করতেই স্পষ্ট হয় যে ২০ জুন নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে সমাবেশের পরে উদয়পুফের ঘটনার ছক কষা হয়েছিল এবং সেটা করেছিল পিএফআই।
এও জানা গিয়েছে যে প্রধান অভিযুক্ত রিয়াজ আত্তার, যে কসাইয়ের ছুরি তৈরি করেছিল, সে ২০১৯ সালে এসডিপিআইতে যোগ দিয়েছিল এবং একজন সক্রিয় সদস্য ছিল৷ অভিযুক্ত বাবলাও জিজ্ঞাসাবাদে তার পিএফআই-এসডিপিআই যোগের কথা স্বীকার করেছে।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, উদয়পুর এবং অমরাবতী অভিযুক্ত উভয়ের আন্তর্জাতিক লিঙ্কগুলি যখন 'CFSL' ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষার ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন পাঠাবে তখনই বেরিয়ে আসবে, অমরাবতী হত্যাকাণ্ডে পিএফআই-এসডিপিআই লিঙ্কটিও খুব স্পষ্টভাবে বেরিয়ে আসছে।
যদিও পিএফআই-এসডিপিআই নিজেদেরকে সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করে, এই গোষ্ঠীটির আলহে-হাদিস বা সালাফি মতাদর্শের সাথে প্রাক্তন সিমি ক্যাডার রয়েছে এবং তাদের চরমপন্থী ভাবনা রয়েছে। পাকি ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবাও এই (এলইটি) বৈশ্বিক আহলে-হাদিসকে অনুসরন করে চলে।
পিএফআই তামিলনাড়ুতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন শুরু করেছিল, এসডিপিআই আবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থন করেছিল। কিন্তু এটাও দেখা গিয়েছে যে সাম্প্রতিক কালী দেবী বিরোধী মন্তব্যের জন্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও সমর্থন করেছে।
কাউন্টার-টেররর এজেন্সিগুলির তদন্তে দেখা গেছে যে ১৭-১৮ জুনের প্রথম দিকে পুলিশের কাছে এসেছিল কানহাইয়া লাল। জানাতে এসেছিল তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে যে ২০ জুনের সমাবেশের পর কানহাইয়া লালকে প্রতিদিন তার খুনি ঘৌস মোহাম্মদ এবং তার সহযোগী ইসলামপন্থীদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে, অমরাবতী পুলিশও হত্যার পরপরই অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেও ডাকাতি হিসাবে বর্বর অপরাধকে হ্রাস করার চেষ্টা করেছিল।