অসুস্থ ছিল শিশুটি
ভোপাল থেকে ৩০ কিমি দূরের আম্বারা বদফরা গ্রামের বাসিন্দা পূজারাম যাতভ তাঁর দুই বছরের ছেলেকে অসুস্থ অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। সে অ্যানিমিয়া ও অ্যাসাইটসে ভুগছিল বলে জানিয়েছিলেনচিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে লিভারের সমস্যার কারণে জল জমে যাওয়ার কারণে পেট ফুলে গিয়েছিল। ভোপালের হাসপাতালে মারা যায় সে। আর যে অ্যাম্বুলেন্স তাদেরকে নিয়ে এসেছিল, তা তাদের নামিয়েই ফিরে যায়।
লাশ নিয়ে যাওয়ার পয়সা নেই
পূজারাম যাতভ ছোট ছেলের লাশ গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কেননা যে টাকা লাগবে তা বহন করার ক্ষমতা তার নেই। হাসপাতালে কর্মীদের কাছে একটি গাড়ির জন্য অনুরোধও করেছিলেন তিনি,যাতে লাশ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু তিনি তা পাননি। হাসপাতাল জানিয়ে গিয়েছে গাড়ি নেই। আর গাড়ির ব্যবস্থা করতে হলে তার জন্য পূজারামকে টাকা দিতে হবে।
গাড়ি খুঁজতে রাস্তায়
পূজারাম যাতভ জানিয়েছেন, হাসপাতালের মধ্যে থাকা এক অ্যাম্বুলেন্স তার কাছে ১৫০০ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু চার সন্তানের বাবার এত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। সেই কারণে ছোট ছেলে রাজার লাশ নিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন পূজারাম। গুলশানকে ছেড়ে মোরেনার নেহরু পার্কের সামনে যান, যদি সেখান থেকে কম টাকার কোনও গাড়ি পাওয়া যায়। অন্যদিকে আধঘন্টারও বেশি সময় ধরে গুলশান বসে আছে বাবার ফিরে আসার আশায়, মৃত ভাইয়ের দেহ কোলের ওপরে রেথে।
পুলিশের সাহায্যে অ্যাম্বুলেন্স যোগার
রাস্তার ধারে মৃত ভাইকে আগলে থাকা বছর আটের গুলশানের চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। একটা সময় বেস কয়েকজন ভিড় করেন সেখানে। নজর যায় পুলিশের। সেই সময় পুলিশ অফিসার যোগেন্দ্র সিং, লাশটি তুলে নিয়ে গুলশানকে সঙ্গে করে জেলা হাসপাতালে যান। সেখান থেকেই পূজারাম এবং তাঁর ছেলেদের বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।