মা কালী নিয়ে নরেন্দ্র মোদী
রামকৃষ্ণ মিশ আয়োজিত স্বামী আত্মস্থানন্দের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা কালীর আশীর্বাদ সারা দেশের সঙ্গে রয়েছে। আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে দেশ এগিয়ে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব দেবী কালীর দর্শন পেয়েছিলেন। তিনি (রামকৃষ্ণ) বিশ্বাস করতেন, সব কিছুই তাঁর চেতনার ফল। তিনি বলতেন দেবীর চেতনা সর্বত্র বিরাজমান। যা বাংলা এবং দেশের বাইরেও প্রযোজ্য বলে
উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রামকৃষ্ণ মিশনের অনুষ্ঠান হলেও, মা কালী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই বার্তা মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের কারণেই, বলছেন বিশ্লেষকরা।
|
অমিত মালব্যের নিশানায় মহুয়া
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরেই পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা তথা গেরুয়া শিবিরের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী শুধু বাংলার নয়, সারা ভারতে মা কালীকে ভক্তি ও শ্রদ্ধার কথা বলেছেন।
অন্যদিকে একজন তৃণমূল সাংসদ মা কালীকে অপমান করেছেন। নাম না করে অমিত মালব্য মহুয়া মৈত্রকেই খোঁচা দেন।
|
পাল্টা জবাব মহুয়ার
এর কিছুক্ষণের মধ্যে পাল্টা জবাব দেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, বাংলার বিজেপির ট্রোল-ইন-চার্জকে পরামর্শ দিচ্ছেন, তার প্রভুরা যেন এমন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা বন্ধ করেন, কেননা বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কোনও ধারনাই নেই। দিদি ও দিদি বলে তারা জুতো পেয়েছে এবার
মা ও মা তাদের বুকে পা তুলবে। প্রসঙ্গত গত বিধানসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিদি ও দিদি বলেই সম্বোধন করতেন।
মহুয়া মৈত্রের যে মন্তব্যে বিতর্ক
গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মহুয়া মৈত্রের করা মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই অনুষ্ঠানে মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন কালী মাংস ও মদ গ্রহণকারী দেবী। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। মহুয়া ব্যাখ্যায় বলেন, কালীকে বিভিন্নভাবে উপাসনা করা হয়।
তারাপীঠে একরকমভাবে হয়, বাংলার বাইরে হয় আরেকরকমভাবে। যদিও মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য নিয়ে বাংলার বিভিন্ন জেলা ছাড়া উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লিতেও এফআইআর দায়ের করা হয়, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ
করে।