শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা, তারপরেই কলকাতা
এদিন স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদিন সব থেকে বেশি আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনায়। ৭৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেই স্থান কলকাতা। ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৮ জন। তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে রয়েছে যথাক্রমে হুগলি ও পশ্চিম বর্ধমান। আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১৯৬ ও ১৫২ জন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং-এ আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ৯৫ জন। তারপরেই রয়েছে জলপাইগুড়ি, ৮০ জন।
বেড়েছে পজিটিভিটি রেট ও মৃত্যু
এদিনের পজিটিভিটি রেট শনিবারের থেকে অনেকটাই বেশি। শনিবার যেখানে পজিটিভিটি রেট ছিল ১৫.৬৯ শতাংশ। সেখানে রবিবারের পজিটিভিটি রেট ১৭. ৩৬ শতাংশ। যেখানে গত কয়েকদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩-এর বেশি হয়, এদিন সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪। মৃত্যুর হার ১.০৪%। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১, ২৪৩ জনের। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৮৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯৭. ৮৩%। রাজ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২২,৭৫৬ জন। এবং হাসপাতালে রয়েছেন ৫০৮ জন। তবে সংক্রমক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্তের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাটা কম। আর যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের তুলনামূলক সংক্রমণও কম হচ্ছে। এটাই পার্থক্য।
তবে সবাইকে চিকিৎসকরা করোনা বিধি পালন করতে মাস্ক পরতে অনুরোধ করছেন তাঁরা। রেননা সাধারণ ভাবে দেখা যাচ্ছে এই দফায় সাধারণ মানুষ ভিড় বাসে মাস্ক পর্যন্ত পরতে চাইছেন না।
রাজ্যে করোনা পরীক্ষা ও টিকা
এদিন রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭,০৬১ টি। এদিন রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৭৬, ৫৬৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭২, ৭০২, ৪৬৬ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৩, ৭৭৮, ৪৮৬ জন।সতর্কতামূলক বুস্টার জোড নিয়েছেন ৪১, ৩০, ২৮৯ জন।
২৪ ঘন্টায় দেশে কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
এদিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২৫৭ জন। যা শনিবারে ছিল ১৮৮৪০ জন। ২৪ ঘন্টায় সারা গেশে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে ৩৬৬২ টি অ্যাকটিভ কেস রেকর্ড করা হয়েছে। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৫০%। মৃত্যুর হার ১.২০%। সারা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার বেড়ে হয়েছে ০.৩ শতাংশ।