গোয়া কংগ্রেসে ভাঙন?
গোয়ায় বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করেছে বিজেপি। সরকার গড়তেও কোনও সমস্যা হয়নি। যদিও বিধানসভা ভোটের আগে একাধিক বিজেপি নেতা দল ছেড়েছিলেন। প্রমোদ সাওয়ন্তের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ হাসি হেঁসেছে বিজেপিই। সরকার গড়লেও বিরোধী মুক্ত হয়ে চায় গেরুয়া শিবির। শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের ৭ বিধায়ক নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তারা পর্টির বৈঠকে যোগ দেননি।
জল্পনার অভিযোগ
যদিও গোয়া কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পুরোটাই মিথ্যে। কোনও কংগ্রেস নেতা বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শনিবার বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকে অনেক কংগ্রেস বিধায়কই উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি দীণেশ গান্ধু রাও দাবি করেছেন, এদিনে গোয়ার হোেটলে যে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিলে তাতে ১১ জন বিধায়কই ছিলেন। ১১ কংগ্রেস বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন হোটেলে। পুরোটাই গুজব ছড়ােনা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র সরকারের পতন
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা আগাড়ি সরকারের পতন ঘটাতে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে শিবসেনার বিক্ষুব্ধ শিবির বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েছে। একনাথ শিন্ডে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী আর উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। মহারাষ্ট্র শিবসেনা আগাড়ি সরকার পতনের নেপথ্যে কাজ করেছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির মদতেই একনাথ শিন্ডের সহ বিদ্রোহী বিধায়করা মহারাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে গুজরাতের সুরাটে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা অসমে উপস্থিত হন।
এবার কোন রাজ্যে নজর
বিজেপির এই একের পর এক অবিজেপি রাজ্য থাবা বসানোর নেপথ্যে লোকসভা ভোটের সমীকরণ কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিেজপি দেশের তিন বড় রাজ্যের ক্ষমতায় চলে এসেছে যার ফলে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে লোকসভা ভোটের একটা বড় অংশের ভোট ব্যাঙ্ক। কারণ বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র এই তিন রাজ্যই এখন বিজেপির দখলে ফলে অনেকটাই সহজ হবে লোকসভা ভোটে বিেজপির জয়।