ক্রমশ জটিল হচ্ছে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি! হাজার হাজার মানুষ ঘিরে রেখেছেন রাষ্ট্রপতি ভবন। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভকারীরা ইতিমধ্যে Gotabaya Rajapaksa-এর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বলে খবর। সেখানে একেবারে ভাঙচুর চলে বলেও খবর। আর এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন Ranil Wickremesinghe।
যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু রাষ্ট্রপতি ভবনই নয়, বিক্ষোভকারীরা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ (Ranil Wickremesinghe) -এর বাড়িতেও ঢোকার চেষ্টা চালান বলে খবর। আর রাষ্ট্রপতি'র পাশাপাশি সে দেশের প্রধানমন্ত্রীরও ইস্তফা'র দাবি তোলেন বিক্ষোভকারী। এই অবস্থায় চাপ বাড়ে বিক্রমসিংহের।
এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত বলে জানান। তবে সব দল সরকার গঠন করে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ না করা পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না বলে স্পষ্ট বার্তা দেন রনিল বিক্রমসিংহ। আর এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন বিক্রমসিংহ। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হয়।
তবে এই অবস্থায় দেশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সেনা'র হাতেই সম্ভবত চলে যাবে সে দেশের নিয়ন্ত্রণ। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
Ranil Wickremesinghe announces his resignation as Prime Minister of Sri Lanka pic.twitter.com/0hwLlKqJ63
— ANI (@ANI) July 9, 2022
তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে Ranil Wickremesinghe লঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে সর্বদলের সরকার গঠন নিয়ে ফের একবার জোরাল সওয়াল করেছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি Gotabaya Rajapaksa। কেউ বলছেন তিনি সেনা হেড কোয়ার্টারে নিরাপদে রয়েছেন আবার কেউ বলছেন জাহাজে লুকিয়ে রয়েছে। তবে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া সঙ্কটের মধ্যেই জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বৈঠকে ডাকা হয়।
শুধু তাই নয়, অবিলম্বে সংসদের অধিবেশন আহ্বানের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানানো হয় বলেও বলা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক আর্থিক সঙ্কট চলছে। স্বাধীনতা'র পর সবথেকে বড় সঙ্কট। এর ফলে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। জ্বালানির অভাবে বন্ধ পাম্প। যার ফলে স্তব্ধ গণ পরিবহণও। এমনকি খরচ সামলাতে বন্ধ রাখা বিদ্যুৎ। এমনকি সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা হচ্ছে বলেও খবর।
আর এতেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জন মানসে। যার প্রভাব এদিনের ঘটনা। বলছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে মহিন্দ্রা রাজাপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপরেই Ranil Wickremesinghe শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন। এরপরেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে ক্ষোভ বাড়তেই থাকে।