ক্রিকেটার হিসাবে প্রচুর দিয়েছেন দেশকে। সদ্য ক্রিকেট কিট তুলে রেখেছেন। এখন তিনি ব্যস্ত নিজের বায়োপিক সাবাশ মিঠুর প্রচার নিয়ে। তার জন্য তিনি এসেছিলেন কলকাতায়। তবে এবার খেলার সূত্রে নয়। নেই সাথে টিম মেটরা। নেই ক্রিকেট কিট। নেই নীল জার্সি। মিঠু এসেছিলেন সাদা 'স্পোর্টস টি', কমলা প্যান্ট আর সাদা জুতো গলিয়ে।
এইভাবে তাঁকে গত তেইশ বছরে খুব কম সময়েই দেখা গিয়েছে। ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়ে মিতালী এখন ব্যস্ত সিনেমার প্রচারে। সেখানে মাঝে মাঝে ব্যাট হাতে উঠে আসছে। খেলতে হচ্ছে ক্রিকেট। মারছেন কভার ড্রাইভ কিন্তু দেশের জার্সি ছাড়াই আজ ইডেনে এলেন মিতালী। আর সেখানে এসেই জানালেন তাঁর পরবর্তী ভাবনার কথা।
কী করবেন মিতালী এরপর তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এত বছরের অভিজ্ঞতা, এত কিছু। একেবারেই কি ক্রিকেট তেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন কিংবদন্তী? পারবেন কী তিনি ? হোয়টস নেক্সট ? যে মাঠে এসেছেন , জারন শহরে এসেছেন সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্রিকেট ছাড়ার পরেই দ্রুত চলে এসেছলেন ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায়। প্রথমে বাংলা ক্রিকেট আর এখন ভারতের ক্রিকেটের প্রধান তিনি। কিংবদন্তী মিতালীর কী প্রশাসক হবার ইচ্ছে আছে ? মিতালী বললেন , "কেন নয়? অবশ্যই ইচ্ছা আছে আমার। এত বছর ক্রিকেট খেলেছি দেশের হয়ে। এত কিছু পেয়েছি, কিছু যদি আরও ফিরিয়ে দিতে পারি অন্যরকম ভুমিকায় তাহলে আমার ভালোই লাগবে। আমি তো দারুণ খুশি হব ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে কাজ করতে পারলে। তবে আমায় সুযোগ দিতে হবে। সেই সুযোগ এলে অবশ্যই সেই কাজ আমি করব। আমার ভালো লাগবে।"
ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মিতালি রাজ। সাড়ে ২২ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে ইতি টেনেছেন গত মাসে। বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ারে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন মিতালি। সাধে তো মিতালিকে মহিলা ক্রিকেটের সচিন তেন্ডুলকর বলা হয় না। যখনই মাঠে নেমেছেন নজর কেড়েছেন ব্যাট হাতে। আজ মহিলা ক্রিকেট সবাই দেখেন, ফলো করেন। আর ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হতই না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ভারত এবং মহিলা ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর হয়ে উঠেছিলেন মিতালি।
তুলে এনেছেন এমন সব ক্রিকেটারকে যারা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটকে নিয়ে মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারবে। হরমনপ্রিত কৌর , স্মৃতি মন্ধনা, শেফালি বর্মা, জেমাইমা রডরিগেজ, দীপ্তি শর্মার মতো দুরন্ত ক্রিকেটারদের তুলে এনেছেন মিতালি। যার ফল এখন পাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট এবং আগামী বহু বছর ধরে এর সুফল পাবে। আর তাই তো আজ মহিলা ক্রিকেটকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধে প্রতিটি ভারতীয়। অবসরের পর এবার নতুন ভাবে ভাবতে শুরু করেছেন মিঠু।