ভারতীয় সীমান্তে চিনা যুদ্ধ বিমান
সূত্রের খবর, জুনের শেষ সপ্তাহে একদিন ভোর চারটে নাগাদ পূর্ব লাদাখের সীমান্তে একটি যুদ্ধ বিমান দেখতে পাওয়া যায়। বিমানটিকে আকাশে উড়তে দেখা যায়নি। মাটিতে ছিল। বিমানটির আশেপাশে বেশ কয়েকজনকে দেখতে পাওয়া যায়। সীমান্তে দেশীর রডারের মাধ্যমে চিনা যুদ্ধ বিমানের বিষয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী নিশ্চিত হয়। চিনা যুদ্ধ বিমানের আকাশ সীমা লঙ্ঘন নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভারতীয় বিমানবাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। জানা যাচ্ছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সেই সময় চিনার যুদ্ধ বিমানগুলো অনুশীলন করছিল। সেই সময় একটি চিনা বিমানকে ভারতীয় ভূখণ্ডে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতীয় বিমাববাহিনীর উপস্থিতির খবর পেয়ে চিনা যুদ্ধ বিমান এলাকা ছেড়ে নিজেদের সীমান্তে চলে যায় বলে সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে।
ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার কারণ
গত দুই বছর ধরে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ইন্দো-চিন উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। পূর্ব লাদাখে সীমান্তে চিন অবৈধ দখল করা এলাকায় একাধিক পরিকাঠামো গঠন করতে শুরু করে। এর জেরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। তার আগেই ভারত লাদাখ সীমান্তে সেনা যাতায়াতের সুবিধার জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করে। তারমধ্যে ছিল লাদাখ সীমান্তে রাস্তা তৈরির প্রকল্প। তার তীব্র বিরোধিতা করে চিন। এরপরেই চিনে অবৈধ দখলকরা অঞ্চলে একাধিক নির্মাণ শুরু করলে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই বাড়তে থাকে। ঘটনার জেরে দুই দেশই সীমান্তে সেনা মজুত করতে শুরু করে।
গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ
এরপরেই গায়োয়ানে চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ চিনের সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে আসে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভারতেরর ২০ জন সেনা শহিদ হয়। এরপরে একাধিকবার চিন ও ভারতের সামরিক বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক ও কূটনীতিকরা বৈঠকে বসেন। পূর্ব লাদাখ নিয়ে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনী এখনও একমত হতে পারেনি। তবে লাদাখের একাধিক জায়গা থেকে চিন ও ভারত তাদের সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়েছে। চিনা আগ্রাসান বার বার আমেরিকার সমালোচনার শিকার হয়েছে।