দল থেকে সাসপেন্ড, পদ কেড়ে নিল বিজেপি
দলের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ খুলেছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতারা। এর আগে জনা ২০ নেতা গণ ইস্তফাও দিয়েছিলেন। হালে বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে শামিল হয়েছিলেন অনেকে। এভাবে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলা এবং শৃঙ্খলাভঙ্গকে বরদাস্ত করল না নেতৃত্ব। দল থেকে সাসপেন্ড করে তাঁদের পদ কেড়ে নিল বিজেপি।
বিজেপির জেলা নেতৃত্ব যাঁদের সাসপেন্ড করল
জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদ থেকে সরানো হয়েছে অলোক চক্রবর্তী, অনুপ পাল, গৌতম সরকার ও তপন মোহন্ত নামে চার নেতাকে। চার নেতাই দলের বিরুদ্ধে নানা সময়ে সরব হয়েছিলেন। সম্প্রতি বিজেপির একাংশ ময়দানে নেমে মিছিল করেছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে।
সাসপেন্ডের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিদ্রোহীরা
চার নেতাকে সাসপেন্ড করে বিজেপি বার্তা দিয়েছে তারা কোনওরকম দলবিরোধী কাজ বরদাস্ত করবে না। বিজেপি লেটার প্যাডে চার দলীয় নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই পদ্ধতি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেতারা। তাঁদের কথায়, কেবল দলীয় লেটার প্যাডে বিবৃতি দিয়ে কাউকে সাসপেন্ড করা যয়া না। এই বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চার বিদ্রোহী নেতা।
সাসপেন্ড অনিয়ম, জেলা নেতাদের মুখে কুলুপ
বিজেপি যে লেটার প্যাডে বিবৃতি দিয়ে সাসপেন্ড করেছে চার নেতাকে। তার নীচে সই রয়েছে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় ও চন্দন বর্মনের। সেখানে আবার কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। জেলা নেতৃত্ব এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে। সাসপেন্ড করলেও কেন নিয়ম মেনে তা করা হল না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
বিজেপিতে গণইস্তফার পরও বিদ্রোহ থামেনি
২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রভূত সাফল্য পেলেও সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপর থেকেই বিজেপি বইতে শুরু করেছে উল্টো সুরে। বিজেপিতে ভাঙন লেগেই রয়েছে। ইস্তফার হিড়িক পড়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। জলপাইগুড়ি জেলার ২০ জন নেতা গণইস্তফা দিয়েছেন। তারপরও বিদ্রোহ থামেনি।
সমান্তরালভাবে সংগঠন চালানোর হুঁশিয়ারির পর...
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে সম্প্রতি। বাপি হটাও বিজেপি বাঁচাও স্লোগানে মিছিল করে বিজেপির একাংশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২০ জন নেতার দল ছাড়ার পরও ক্ষোভ থামেনি। জেলায় সমান্তরালভাবে সংগঠন চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধরা। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই নেমে এল খাঁড়া।
জেলা সভাপতি অচল পয়সা, ঝড় উঠেছিল বিদ্রোহের
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে একের পর এক বিদ্রোহ লেগেই রয়েছে। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে ২০ জন নেতার দল ছাড়াই নয়, কর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠকও করেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি-সহ একাধিক নেতা। তারপর প্রকাশ্যে মিছিল হয় অনতিবিলম্বে সভাপতিকে সরানোর দাবিতে। বিদ্রোহীদের বৈঠকে জেলা সভাপতিকে অচল পয়সা বলে ব্যাখ্যা করা হয়।
বিদ্রোহ, ইস্তফা, সাসপেন্ড লেগেই রয়েছে জলপাইগুড়িতে
সম্প্রতি নতুন মণ্ডল কমিটিতে বাদ পড়েন জেলার আদি নেতারা। তারই জেরে বিদ্রোহ দানা বাঁধে। বিজেপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি গঠন করা হয়েছিল নতুন মণ্ডল কমিটি। দলের আদি নেতারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা নেতৃত্ব নতুন কমিটি তৈরি করেছে। তার ফলস্বরূপ বিদ্রোহ, ইস্তফা, সাসপেন্ড লেগেই রয়েছে।