মোহনবাগান রত্ন পেতে চলেছেন শ্যাম থাপা। এই বছর মোহনবাগান দিবসে ক্লাবের সর্বোচ্চ সম্মান মোহনবাগান রত্ন দিয়ে ভূষিত করা হবে শ্যাম থাপাকে। ২৯ জুলাই ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তির হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে।
করোনা মহামারীর কারণে বিগত দুই বছর ধরে মোহনবাগান দিবস পালনে মানতে হয়েছিল একাধিক বিধি নিষেধ। তবে, পরিস্থিতি বদলেছে বর্তমানে। কোভিডের প্রকোপ কিছুটা কমেছে তাই এ বারের মোহনবাগান দিবসকে তার চিরাচরিত উজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে চায় সবুজ-মেরুনের নতুন কার্যকরী কমিটি। মোহনবাগান দিবসের পরিকল্পনা ঠিক করা জন্য এ দিন ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরী কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই শ্যাম থাপাকে মোহনবাগান রত্ন দিয়ে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব।
ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে শ্যাম থাপা। ঐতিহাসিক ৫-০ গোলে মোহনবাগানের হারের ম্যাচে লাল-হলুদের হয়ে জোড়া গোল করেছিলেন শ্যাম থাপা। ১৯৬৬ সালে কলকাতা ময়দানে পেশাদর ফুটবলে আবির্ভাব ঘটে শ্যাম থাপার। সুব্রত কাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা শ্যামের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাঁরে ১৯৬৬ সালে সই করায় ইস্টবেঙ্গল। এর পর থেকেই লাল-হলুদের কাণ্ডারী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত গোরখা ব্রিগেডের হয়ে খেলেন থাপা। এর পর তিনি যোগ দেন মফতলাল মিলসে। এর পর ১৯৭৫ সালে প্রত্যাবর্তন ঘটে লাল-হলুদে। ইস্টবেঙ্গলের টানা ষষ্ঠ বার কলকাতা লিগ জয়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালে শ্যাম থাপাকে তুলে নেয় মোহনবাগান। ১৯৮২ পর্যন্ত সবুজ-মেরুন জার্সি গায়েই খেলেন তিনি। ১৯৭৭ সালে শ্যাম থাপা সই করার পর ওই মরসুমেই ত্রি মুকুট জেতে মোহনবাগান। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৭ টানা ভারতীয় দলের হয়েছে খেলেছেন তিনি। ভারতীয় ফুটবলে তাঁর মতো স্ট্রাইকার খুব কমই এসেছে। ১৯৭০ ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন থাপা। পেলের কসমসের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন তিনি ইডেন গার্ডেন্সে।
প্রতিবারের মতো এ বার প্রাক্তনদের একটি ম্যাচ আয়োজিত হবে মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠান শুরুর আগে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন পৌষালি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শো করবে চন্দ্রবিন্দু। কার্যকরী সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হবে বলাই দে'কে। সুভাষ ভৌমিক পুরস্কার পেতে চলেছেন ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের কিংবদন্তি জামশেদ নাসিরির পুত্র কিয়ান নাসিরি। গোকুলাম কেরলের ভিসি প্রবীণকে দেওয়া হবে সেরা ক্রীড়া সংগঠকের পুরস্কার। এই মরসুমের সেরা খেলোয়াড় লিস্টন কোলাসোকে দেওয়া হবে শিবদাস ভাদুরী পুরস্কার।