উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের বারাণসী সফরে ১,২২০ কোটি মূল্যের ১৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও মোদীর ৫৫৩.৭৬ কোটি টাকা মূল্যের ৩০টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বারাণসীর এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ সিগ্রার সম্পুরানন্দ স্পোর্টস স্টেডিয়ামে এই প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন তারমধ্যে রয়েছে বারাণসী স্মার্টসিটি। এছাড়াও বারাণসীর রাস্তা, সেতু, পর্যটন বিভাগ সম্পর্কিত একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গিয়েছে। দমকল ও পুলিশ বিভাগের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা
দেশের উচ্চশিক্ষায় প্রতিকূলতা ও তার সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিন দিন ব্যাপী একটি সম্মেলন হবে বারাণসীতে। সেই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনে একাধিক শিক্ষাবিদ অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই আলোচনায় দেশের ৩০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক আধিকারিকদের ক্ষমতা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ - এর অধীনে একাধিক বিষয় নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনার কথা রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে পড়ুয়াদের গবেষণার জন্য উৎসাহিত করা, অনলাইন পড়াশোনার ওপর জোর দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বারাণসীতে তিন দিনের সম্মেলনে আলোচনা হবে। উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীরণ সম্মেলনে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষায় বই প্রকাশের বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার ওপর জোর
এই সম্মেলন সম্পর্কে বারাণসী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুধীর কে জৈন বলেন, সম্মেলনে একধিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে বের করা হবে আলোচনার মাধ্যমে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা নিয়ে আলোচনার পরিল্পনা রয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটা সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে এই আলোচনার মাধ্যমে। তিনি বলেন, পড়ুয়াদের কীভাবে গবেষণায় উৎসাহিত করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা মানুষের মনের ওপর অনেক ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণার ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে।