মহুয়া মৈত্র-নূপুর শর্মার পাশে তসলিমা
ধর্ম নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশে। এক নেত্রী নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন। আরেক নেত্রী দেবী কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সোশ্যাল মিিডয়ায় এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। তারই মধ্যে দুই রাজনৈতিক নেত্রী মন্তব্যকেই সমর্থন করেছেন বাংলাদেেশর বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন 'আমি নিজের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। যে কেই এই চিন্তাধারায় বিশ্বাসী হলে তিনি দুই নেত্রীকেই সমর্থন করবেন। যদি সেই ভাব প্রকাশের স্বাধীনতায় কেউ বিশ্বাসী না হয় তাহলেই তাঁরা দুই নেত্রীর মতামত নিয়ে সমালোচনা করবেন।'
কী লিখেছেন তসলিমা
বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন নিজের ফেসবুকে নূপুর শর্মা এবং মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, 'কারোর মাথার দাম ঘোষণা করা, এবং তার মাথা কেটে আনার কথা বলা মত প্রকাশের স্বাধীনত হতে পারে না। কারোর মতামতকে সমর্থন করা আর কারোর মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা দুটো ভিন্ন জিনিস। আমি সবসময় মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি। সেটা আমার শত্রু হলেও সমর্থন করব।'
মহুয়া মৈত্রর বিতর্কিত মন্তব্য
কালী ছবির পোস্টারকে সমর্থন করে টিএমসি সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, আমাদের দেব-দেবীরাও মদ এবং মাংস খাওয়াকে সমর্থন করেন। তারপরেই বিতর্কের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। একাধিক জায়গায় মহুয়া মৈত্রের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে মহুয়া মৈত্রের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। টিএমসিও তাঁর মন্তব্যর দায় ঝেড়ে ফেলেছেন। তারপরই টিএমসির টুইটার আনফলো করতে শুরু করেন মহুয়া মৈত্র। তবে নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ তিনি।
নবীকে নিয়ে বিতর্তিক মন্তব্য নূপুর শর্মার
কয়েক দিন আগে আবার নবীকে নিতে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। তারপরেই গোটা দেশে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে তার আগুনষ একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। কয়েকদিন আগে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন করার জন্য রাজস্থানের এক দর্জির গলাকেটে খুন করা হয়। ঘটনায় জড়িত দুই মুসলিম যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।