চাপ বাড়াতে নিয়োগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রীর, পথ প্রশস্ত বরিস জনসনের পদত্যাগের

নিয়োগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী মিশেল ডোনেলান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করেই শিক্ষামন্ত্রী ইস্তফা দিলেন। ইস্তফাপত্রে তিনি লেখেন, পদত্যাগ ছাড়া এই মুহূর্তে তাঁর কাছে কোনও উপায় নেই। গত দুই দিন ধরে বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বরিস জনসনের চাপ প্রয়োগ করতেই একাধিক মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। ২০১৯ সালে বরিস জনসন বিদেশ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। ব্রিটেনের বাসিন্দারা সেই ঘটনার পুনরাবৃ্ত্তি তিন বছর পর ফের পর্যবেক্ষণ করছেন। চাপের মুখে পদত্যাগ করতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগ

পদত্যাগে ব্রিটেনের শিক্ষামন্ত্রী মিশেল ডোনেলাল পদত্যাগে বলেন, 'একটি সরকার পারস্পরিক সমঝোতা, বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর গড়ে ওঠে। আমার মনে হয় না, এই ধরনের পরিবেশ এখানে রয়েছে। তাই শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আমার হাতে আর কোনও উপায় নেই।' অন্যদিকে, বরিস সরকাররে চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত করার একদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেন নাদিম জাহাবি। পদত্যাগের পরেই জাহাবি জনগণের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি বলেন, বরিস জনসনের সঙ্গে ৩০ বছরের পুরনো বন্ধুত্ব। বর্তমান পরিস্থিতি জনসনের প্রতিকূলে। এই পরিস্থিতিতে জনসনব তাঁর কথা শুনছেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। এই সরকার টিকবে না। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সময়টা কনজারভেটিভ দল ও ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সেক্রেটারি ব্রান্ডন লুইস পদত্যাগ করেন।

বরিস জনসনের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত

মন্ত্রিসভার একের পর এক সদস্য পদত্যাগ করার পরেও বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্রমেই তাঁর ওপর চাপ বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে নব নিযুক্ত ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও একাধিক মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। চাপে পড়ে বরিস জনসন।

বরিস জনসনের সময়কাল

২০১৯ সালের তুমুল উত্তেজনা, কূটনৈতিক চাপের মধ্যে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে থেরেসা মে-র সঙ্গে ব্রিটিশ সংসদের সদস্যদের মত বিরোধ দেখা দেয়। যার জেরে বাধ্য হয়ে থেরেসা মে প্রধানমমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। বরিস জনসন যে সময়ে প্রধানমন্ত্রী হন, নো ব্রেক্সিট ডিলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। অর্থাৎ ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কোনও রকম বাণিজ্য চুক্তি ছাড়াই বেরিয়ে যেতে হবে। সেই পরিস্থিতি থেকে চুক্তি নিয়ে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করেন বরিস জনসন। সেই চুক্তির ইস্তেহারকে ব্রিটিশ সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সমর্থন করেছিলেন। এছাড়াও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মহামারীকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। যদিও তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

৪৮ ঘণ্টায় ৫০ মন্ত্রীর পদত্যাগ, ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রীর গদি ছাড়ছেন বরিস জনসন ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ মন্ত্রীর পদত্যাগ, ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রীর গদি ছাড়ছেন বরিস জনসন

More BORIS JOHNSON News  

Read more about:
English summary
New appointed UK education minister resign to force PM Boris to resign