ডিজিসিএ-র নোটিস
একর পর এক বিপত্তি। ১৮ দিনে ৮ বার স্পাইসজেটের বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। তার মধ্যে ৭টি যাত্রীবাহী বিমান। এবং একটি কার্গো বিমান। সাতটি যাত্রীবাহী বিমানের মধ্যে আবার একটি আন্তর্জাতিক উড়ান। যেকোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে বারবার প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বিমান সংস্থাটি। এবার তাই কড়া পদক্ষেপ করল ডিজিসিএ। স্পাইসজেটকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে ডিজিসিএ। কেন বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে বিমান সংস্থাকে যথাযত কারণ জানাতে হবে বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ।
কেন বারবার বিপত্তি
ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্ত করে যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তাতে জানা গিয়েছে বিমান সংস্থাটি ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির ভিত্তিতে বিমানগুলির রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করছে। যাঁরা বিমানের রক্ষণা বেক্ষনের কাজ করেন তাদের ঠিকমত টাকা েদয়া হচ্ছ না। তার কারণেই একাধিক যন্ত্রাংশের অভাব দেখা দিচ্ছে। আর সেই থেকেই একের পর এক বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে স্পাইস জেটের বিমানে। ডিজিসিএ কড়া বার্তা দিয়ে জািনয়েছে যে সুরক্ষিত যাত্রী পরিষেবা দিতে ব্যর্থ স্পাইসজেট।
টুইট সিন্ধিয়ার
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্পাইসজেটের একের পর এক বিমান বিভ্রাটের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন সবার আগে যাত্রী সুরক্ষা। কোথাও ছোট্ট একটা ত্রুটি বিমানে দেখা দিলেও সেটা ভাল করে খতিয়ে দেখে তার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যদি সেটা করা না হয় তাহলে অসংখ্য মানুষের প্রাণ হানি আশঙ্কা থেকে যায়। কাজেই বিমান বিভ্রাট যে একটা বড় ঘটনা সেটা টুইটে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
একের পর এক বিপত্তি
কার্গো বিমানে ওয়েদার ব়্যাডার কাজ করছিল না। সেকারণে পাইলট আর সেটি নিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি। কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটির। তার আগের দিন মঙ্গলবারেই দুবাই গামী স্পাইসজেটের বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয়। মাঝ আকাশে বিমানের জানলার কাছে চিড় ধরেছিল। তারপরেই করাচি বিমান বন্দরে জরুরি অবতরণ করিয়ে অন্য বিমােন নিয়ে যাওয়া হয় যাত্রীদের। ১১ ঘণ্টা করািচ বিমান বন্দরে অপেক্ষা করেছিলেন তাঁরা।