|
তিনি বিষ্মিত, বললেন শশী তারুর
তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস শশী তারুর বলেছেন, বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। আর মহুয়া মৈত্রকে যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে তিনি বিষ্মিত। কেননা বিষয়টি প্রত্যেক হিন্দুই জানেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে দেবদেবীর
উপাসনা করা হয়। ভক্তরা দেবীর কাছে যা নিবেদন করেন, তা দেবীর চেয়ে ভক্তির কথাই বেশি বলে বলেও মন্তব্য করেছেন শশী তারুর।
|
মহুয়া কাউকে আঘাতের চেষ্টা করেনি
অপর একটি টুইটে শশী তারুর বলেছেন, সবাই এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যেখানে কেউ ধর্মের কোনও দিক সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারে না। তবে তিনি মনে করেন, মহুয়া কাউকে আঘাতের চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, সবাইকে অনুরোধ পরিবেশকে হাল্কা করুন। একজন কীভাবে ধর্মে বিশ্বাস করবে, সেটা তার ওপরে ছেড়ে দিন।
মহুয়াকে নিয়ে অধীর
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, তিনি দেখেছেন, মহুয়া মৈত্র একটি মন্তব্য করেছেন। শিক্ষিত মহিলা তাঁর মন্তব্যের মধ্যে তর্কবিতর্ক আছেই। তিনি বলেন, একদিকে ধর্মীয় ভাবাবেগ আছে, আরেকদিকে হয়তো
বৈজ্ঞানিক কোনো কারণ আছে তিনি খুঁজে পেয়েছেন। ধর্ম নিয়ে যখন মানুষ এত সেনসিটিভ হয়ে পড়ছে তার মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না করায় শ্রেয় বলে মন্তব্য করেন অধীর। তিনি বলেন, কারও বক্তব্য নিয়ে তাঁর
অন্য কিছু বলা উচিত নয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, মহুয়া মৈত্র এই ধরনের মন্তব্য না করলে ভাল হত।
|
অবস্থানে অনড় মহুয়া
মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তামিলনাড়ুর এক পরিচালকের 'কালী' তথ্যচিত্র নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র মা কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। মহুয়া বলেছিলেন, তাঁর কাছে মা কালী মাংসভোজী এবং মদ গ্রহণকারী দেবী।
আর তারাপীঠে গেলে দেখা যাবে, সাধুরা ধূমপান করছেন। তিনি বলেছিলেন, হিন্দুধর্মের মধ্যে তিনিও কালীর উপাসক। কালীকে কল্পনা করার অধিকার তাঁর রয়েছে, সেটাই তাঁর স্বাধীনতা বলেও দাবি করেছিলেন মহুয়া।
বিতর্ক বাড়তে থাকলে তৃণমূল মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য থেকে নিজেদের আলাদা করে নিয়ে বলে, ওই বক্তব্য মহুয়ার ব্যক্তিগত। এরপরেই মহুয়া টুইটে বিজেপিতে নিশানা করে বলেন, সকলের কাছে মিথ্যা কথা বলা তাদেরকে ভাল হিন্দু করে তুলবে না।
তিনি কখনও কোনও চলচ্চিত্র কিংবা পোস্টারকে সমর্থন করেনি কিংবা ধূমপান শব্দটি উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন মা কালীকে ভোগ হিসেবে কী খাবার এবং পানীয় দেওয়া হয়।
এরপর অপর একটি টুইটে নিজেকে কালীর উপাসক হিসেবে দাবি করে মহুয়া বলেন, তিনি কিছুতেই ভয় পান না। সত্যের জন্য পিছন থেকে কোনও সমর্থন লাগে না।