বিশ্রীভাবে একটি প্রাইভেট হেলিকপ্টার অবতরণ করল অমরনাথ যাত্রার পথে পাঞ্জতারনিতে। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারত দুর্ঘটনা। তবে এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। এমনই জানিয়েছে ডিজিসিএ। একটি বিবৃতিতে, ডিজিসিএ বলেছে যে ওই হেলিকপ্টারকে অনেক কষ্টে মাটিতে নামানো গিয়েছে। পাইলটকে এখন কোনও হেলিকপ্টার চালানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
হেলিকপ্টারটি প্রথমে দেখে বোঝা যায়নি এমনভাবে অবতরণ করবে, কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। সেটি এলোমেলোভাবে বাতাসে চক্কর কাটতে থাকে। একদম মাটির খুব কাছ দিয়ে বিশাল হেলিকপ্টার দুলতে দুলতে একবার এদিক কায় তো একবার ওদিক যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ঘটনার ভিডিও।
তেমনই একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে হেলিকপ্টারটি অমরনাথের পথে যাওয়া খচ্চরগুলির খুব কাছ দিয়ে উড়তে থাকে। তাতে বসেছিল অনেক মানুষ। তাঁরা না মানতে পারে না কিছু করতে পারে। যারা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তাদেরকেও দেখা যায় এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে। আসলে যেদিকেই তাঁরা যাচ্ছেন সেদিকেই আবার ওই হেলিকপ্টার তাড়া করতে শুরু করে। পাইলট অনেক চেষ্টা করছিলেন হেলিকপ্টারকে মাটিতে নামানোর। কিন্তু সেটি যেন তখন পাগলা ঘোড়া। কিছুতেই বাগে আসে না। এই এদিকে যায় তো পর মুহূর্তেই ওদিকে চলে যায়।
দর্শকরা ল্যান্ডিং জোনের কাছাকাছি থাকা লোকদের সরে যেতে বলছিলেন। কিন্তু হলে কী হবে এই হেলিকপ্টার মাঠের কাছে এসে দাঁড়াতে চেষ্টা করে তো হঠাৎ কপরে আবার সেটি ঘুরে গিয়ে পথ চলতি মানুষকে তাড়া করতে শুরু করে। পাশাপাশি কপ্টারের পাখার হাওয়ায় ধুলোয় ধুলোয় চারিদিক ছেয়ে গিয়েছে। এক্কেবারে যা তা পরিস্থিতি। বেশ খানিকক্ষন এমন ভয়ঙ্কর ভাবে চক্কর কাটার পর সেটি এসে এক জায়গায় দাঁড়ায়।
ডিজিসিএ বিবৃতিতে বলেছে, "ভিডিও ক্লিপটিতে দেখতে পাওয়া ঘটনাটি মাহুগুনা পাস নামক রুটের একটি জায়গার এবং ডিজিসিএ-র অধীনে থাকা কোনও হেলিপ্যাড এখানে নেই। ক্লিপে হেলিকপ্টারটি ওভারলোড করা বলে মনে হচ্ছে। এর গুণগত মান কতটা ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। পাইলটও যে সব নিয়ম মেনে হেলিকপ্টার চালাতে উঠেছিল বলে মনে হয় না। "
উল্লেখ্য যে শ্রী অমরনাথ যাত্রায় ব্যবহৃত হেলিপ্যাডগুলি হল নীলগ্রাথ, পাহলগাম এবং পাঞ্জতারনি। সিভিল এভিয়েশন 'ওয়াচডগ টিম' পরিদর্শনের পর এই বছরের অমরনাথ যাত্রার জন্যও হেলিপ্যাডগুলি খোলা হয়৷ ডিজিসিএ বিবৃতিতে বলা হয়েছে , "ডিজিসিএ এই ঘটনা নিয়ে বিবেচনা করছে এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত মেসার্স হেরিটেজ এভিয়েশনের 'EC 130' হেলিকপ্টারটির ইঞ্জিন কী অবস্থায় আছে তা নিয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। পাইলটকেও হেলকপ্টার চালানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে এবং ঘটনার আরও তদন্তের জন্য একটি তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে।"