মমতার মন্তব্যে তীব্র আপত্তি দিল্লির কংগ্রেসের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছেন, বিজেপি যদি আগে জানাত, কে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হবে, তাহলে তাঁদের সিদ্ধান্ত অন্যরকম হতে পারত। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে তিনি সমর্থন করতে পারতেন। মমতার এ ধরনের কথায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দিল্লির কংগ্রেস। কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এজেন্টের কাজ করছেন!
আবার ইন্ডিয়া টুডের কনক্লেভে মমতা বলে বসেন, কংগ্রেসকে কেন আসন ছাড়ব বাংলায়। বাংলায় ওরা শেষ ১০ বছর ধরে তৃণমূলের বিরোধিতা করে আসছে। সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলকে হারানোর পরিকল্পনা করেছে। তাই কংগ্রেসকে কোনও জায়গা দেব না বাংলায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বার্তা বিরোধী ঐক্যের বিরোধী বলে ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এজেন্টের মতো কাজ করছেন।
বিজেপি বিরোধী জোট চান না মমতা, তাই মন্তব্য?
গোয়া বিধানসভার নির্বাচন থেকে শুরু করে ত্রিপুরা, অসম ও মেঘালয়ে তৃণমূল ভেঙে চলেছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেসকে দুর্বল করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে বরাবর। এখন আবার তিনি কংগ্রেসকে কোনও জায়গা না ছাড়ার প্রচ্ছন্ন হুমকিতে বোঝাতে চাইছেন তিনি সঠিক অর্থে বিজেপি বিরোধী জোট চান না। তাহলে তিনি প্রকাশ্যে কংগ্রেস বিরোধী এহেন মন্তব্য করতেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলছেন নরেন্দ্র মোদীর কথায়!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আগেই বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলছেন নরেন্দ্র মোদীর কথায়। গোপন সমাঝোতা করেই চলছে বিজেপি ও তৃণমূল। তৃণমূলের সাম্প্রতিক সমস্ত পদক্ষেপই বিজেপির পক্ষে গিয়েছে। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলছেন, তাতে বিজেপির এজেন্ট হওয়ার আদর্শ বলেই তাঁর মত।
গোয়ায় বিজেপিকে জয় পাইয়ে দিয়েছে
গোয়া নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এর ফলে বিজেপির জয় সহজ হয়েছে। কারণ বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীর ব্যবধান ছিল যৎসামান্যই। কয়েক শতাংশ ভোটের পার্থক্যে পুরো খেলা ঘুরে যেতে পারত। আর এবার বিজেপি হারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় পদার্পণ করে কংগ্রেসকে ভেঙে বিজেপির জয়ের পথ সহজ করে দিয়েছে। নিজেরা একটা আসনও দখল করতে পারেনি।
বিজেপির জয়ের পথ মসৃণ করছে তৃণমূল
তারপর ত্রিপুরা, অসম ও মেঘালয়ে একই খেলা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের ভাঙিয়ে নিয়ে ইউনিট গড়ার নামে বিজেপির জয়ের পথ সহজ করে দিয়েছে। গোয়ার পর সম্প্রতি ত্রিপুরার উপনির্বাচনেও জোর ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। সমস্ত প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। ২-৩ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। তারপর আবার মেঘালয়ে গিয়েছে কংগ্রেস ভাঙানো নেতাদের নিয়ে পার্টি অফিস উদ্বোধন করতে। এভাবে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির জয়ের পথ মসৃণ করছে তৃণমূল।