উপরাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই জল্পনা ছিল। কখনও নাম উঠে এসেছে ভেঙ্কাইয়া নাইডুর, যাকে ফের ওই পদে বসানো হতে পারে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। সম্প্রতি উঠে আসে পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের নাম। তার মধ্যে মুক্তার আব্বাস নাকভির নাম। এবার তার নামটাই যেন এই পদে আসিন হওয়ার জন্য স্পষ্ট হচ্ছে কারণ তিনি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। এই ধরনের পদে থাকতে গেলে কোনও মন্ত্রী বা এমন পদে থাকা যায় না। আর তার হঠাৎ মন্ত্রীত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া সেই সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করল তা বলাই যায়।
নকভি রাজ্যসভার মেয়াদ আগামীকাল শেষ হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনের সময় বিজেপি তাকে ফের রাজ্যসভায় নিয়ে যাবে সে কথাও বলেনি। মঙ্গলবার সকালে মুক্তার আব্বাস নকভি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সাথে দেখা করেন। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল , যা বাড়ল বিকালে।
ঘটনা হল নকভি এবং রাজনাথ সিং হলেন মোদী সরকারের একমাত্র দুই মন্ত্রী যারা অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন-বিজেপি সরকারেও মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। অর্থাৎ অভিজ্ঞতা প্রচুর। পাশাপাশি শাসক দল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে আলোচনা করছে এই খবর মিলছিল আগে থেকেই। কারণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলের বরখাস্ত হওয়া মুখপাত্র নুপুর শর্মার নবী মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্য নিয়ে বিজেপি ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এখনও সেই সমস্যা চলছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গুড বুকে নাম তুলতে গেলে এটাই একমাত্র পথ। বার্তা দেওয়া, তোমাদেরই একজন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত , উপপরাষ্ট্রপতি হিসেবে এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে৷ আর তার ঠিক এক মাস আগে মুক্তার আব্বাস নকভি মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, যা তাঁর উপরাষ্ট্রপতির গুঞ্জনকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে তা বলাই যায়।
১৯ জুলাই উপ রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নের শেষ তারিখ। আগামী ৬ আগস্ট নির্বাচন হবে।কেরালার গভর্নর আরিফ মোহাম্মদ খান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাজমা হেপতুল্লা এবং পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও এই দৌড়ে রয়েছেন। এমনটাই রিপোর্ট বলছে। তবে আজকের পর অনেকটা এগিয়ে গেলেন নাকভি তা বলাই যায়। এদিকে ওড়িশার আদিবাসী নেতা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে নাম দিয়েছে বিজেপি, আর এই দুটি পদে প্রার্থীদের নির্বাচিত করার জন্য বিজেপির যথেষ্ট আসন রয়েছে হাতে।